Logo
Logo
×

রাজনীতি

কোটাবিরোধী আন্দোলন

তারেক রহমানের জরুরি বার্তা

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৫২ পিএম

তারেক রহমানের জরুরি বার্তা

‘কোটা কখনো মেধার বিকল্প হতে পারে না। এই অন্যায্য কোটার কারণেই দক্ষতা এবং মেধার পরিবর্তে জনপ্রশাসন সম্পূর্ণ দুর্নীতিনির্ভর হয়ে পড়েছে। জনপ্রশাসনে চলমান বৈষম্য আর অনাচারের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কারের দাবিতে সারা বাংলাদেশের ছাত্র-তরুণ-শিক্ষার্থী আবারো রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। অথচ ন্যায্য দাবি মেনে না নিয়ে খুনি হাসিনা  নিরস্ত্র ছাত্র-ছাত্রীদের উপর পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীদেরকে লেলিয়ে দিয়েছে,’ -বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘বীরোচিত অভিনন্দন’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা খুনি হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লড়াই অব্যাহত রেখেছেন। আপনাদেরকে বীরোচিত অভিনন্দন।’

তিনি বলেন, ‘নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী হানাদারবাহিনীর সশস্ত্র হামলায় সারাদেশে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৭ জন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সারাদেশে শত শত শিক্ষার্থীকে নির্মম-নির্দয়ভাবে আহত করা হয়েছে।

‘বর্বোরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমা না চেয়ে উল্টো বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে তল্লাশি চালিয়ে খুনি হাসিনা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে রাজনৈতিক রং দিতে চায়। তবে হাসিনার ষড়যন্ত্রে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী কিংবা দেশবাসী সজাগ এবং সচেতন।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হানাদারবাহিনীর হামলায় যারা হতাহত হয়েছেন তারা আমার-আপনার প্রিয় ভাই-বোন কিংবা সন্তান। তারা নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিল। মানবিক মর্যাদা নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে স্বাধীনভাবে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চেয়েছিল। স্বাধিকার আর সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাওয়াই কি তাদের অপরাধ?

‘কেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের উপর এমন বর্বরোচিত হামলা চালানো হলো?

‘আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের উপর কেন গুলি চালানো হলো?

‘হাসিনার জঙ্গিবাহিনীর আক্রমণে শহীদ প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীই ছিল তাদের নিজ নিজ পরিবারের একেকটি স্বপ্ন। রাষ্ট্রের সামনে একটি সাফল্যের সম্ভাবনা। সুতরাং, একজন শিক্ষার্থীকে হত্যা করে শুধু একজন ব্যক্তিকেই হত্যা করা হয়নি। একেকটি পরিবারের স্বপ্নও ভেঙে দেয়া হয়েছে। একেকটি পরিবারকে পথে বসিয়ে দেয়া হয়েছে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বিনা ভোটে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে রক্তপিপাসু হাসিনা এভাবে  আর কত মানুষের জীবন কেড়ে নেবে? আর কত পরিবারের স্বপ্ন কেড়ে নিলে খুনি হাসিনার রক্তের নেশা মিটবে?

‘সারা দেশের প্রিয় তরুণ শিক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রী ভাই ও বোনেরা!

‘আমি এই হত্যকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। হতাহতদের পরিবার এবং স্বজনদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাই গভীর শোক এবং সমবেদনা। আল্লাহর দরবারে শহীদদের মাগফিরাত কামনায় বিএনপিসহ বাংলাদেশের পক্ষের প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বুধবার বাদ জোহর সারাদেশে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

‘প্রিয় দেশবাসী

‘একজন শহীদের সন্তান হিসেবে, স্বাধীনতার ঘোষকের সন্তান হিসেবে, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, আমার দল বিএনপি বিশ্বাস করে, চাকরির ক্ষেত্রে ৫৬ পার্সেন্ট কোটার বিদ্যমান ব্যবস্থা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সামাজিক সুবিচার, মানবিক মর্যাদা এবং সাম্যবিরোধী। কোনো সভ্য রাষ্ট্র ও সমাজের শাসন-প্রশাসন দা-চাপাতি-কুড়াল কিংবা হেলমেটবাহিনী দিয়ে চলতে পারে না।

‘জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র এবং সমাজ বিনির্মাণ করতে হলে, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে, মেধাভিত্তিক শাসন প্রশাসনের বিকল্প নেই।  এ কারণেই সরকারি চাকরিতে ৫ পার্সেন্টের বেশি কোটা রাখা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আমি কথা দিচ্ছি, জনগণের রায়ে বিএনপি আবারো সরকার গঠনের সুযোগ পেলে সংবিধানের ২৯ বিধির আলোকে অবশ্যই কোটা সংস্কারের যৌক্তিক এবং ন্যায্য দাবি মেনে নেয়া হবে। বাস্তবায়ন করা হবে।    

‘প্রিয় দেশবাসী    

রাজপথে আন্দোলনকারী এই শিক্ষার্থীদের কেউ আপনার-আমার-আমাদের ভাই, বোন, সন্তান কিংবা স্বজন। সুতরাং, তারুণ্যের ন্যায্য অধিকার আদায়ের চলমান এই লড়াইকে সফল করতে অভিভাবক হিসেবে অবশ্যই আমাদের সমর্থন-সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের পক্ষের শক্তির কাছে আমার আহবান, আমাদের ভাই, বোন, সন্তান কিংবা স্বজনদের ন্যায্য দাবি আদায়ে তাদের পাশে থাকুন। তাদেরকে সাহস দিন, সহযোগিতা করুন। আওয়ামী লীগের হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আন্দোলনকারীদের সাহস দিন। স্লোগান তুলুন: ফয়সালা নয় আদালতে, ফয়সালা হবে রাজপথে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বারবার প্রমাণিত হয়েছে, খুনি হাসিনার হাতে কেউ নিরাপদ নয়। এমনকি দেশের স্বাধীনতাও নিরাপদ নয়। মিথ্যাবাদী প্রতারক হাসিনার কবল থেকে রাষ্ট্রক্ষমতা উদ্ধার করে  জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে ছাত্র-শিক্ষক কিংবা পেশাজীবী কারো কোনো দাবি আদায় হওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং, দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষাই হোক এই মুহূর্তের স্লোগান: এক দফা এক দাবি, খুনি হাসিনার পদত্যাগ।’

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন