দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, দুর্নীতি বিরোধী প্রচার, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি ও সমঝোতা ইস্যু, সীমান্ত হত্যা, গ্যাস এবং পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদসহ জনসম্পৃক্ত ইস্যুতে চলতি মাসেই যুগপৎভাবে বড় কর্মসূচিতে যেতে চায় বিএনপি। এ জন্য কর্মসূচি ঠিক করতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক করছে বিএনপি। এসব বৈঠক শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।
যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণে সমমনা দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক করছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। শনিবার বিকেলে গণ-অধিকার পরিষদের (নুর) সঙ্গে বৈঠক হয়। এই বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
আর কর্মসূচি ঠিক করতে গত ১১ জুলাই গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এনডিএম এবং ১২ জুলাই এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা। এরই ধারাবাহিকতা আজ রবিবার বিকেল ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দলটির অঙ্গ-সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলা প্রথম দফার বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অংশ নেন।
এছাড়া ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ওই বৈঠকের পর দ্বিতীয় দফায় যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দলটির অঙ্গ-সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা নিজেরা সম্ভাব্য কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন।