Logo
Logo
×

রাজনীতি

বৈষম্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলে দেশে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য: এবি পার্টি

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৬ পিএম

বৈষম্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলে দেশে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য: এবি পার্টি

রেল ট্রানজিটের নামে কৌশলে ভারতকে একতরফা করিডোর প্রদান করে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করা হলে এবং বৈষম্যমূলক কোটা পুনঃপ্রবর্তনের মাধ্যমে ৭১ পূর্ব পাকিস্তানি বৈষম্য বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলে দেশে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’- ‘এবি পার্টি’। 

আজ বিকেল ৪টায় রাজধানীর বিজয় নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে প্রতিবাদী অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিলে দলের নেতারা এসব কথা বলেন। ট্রানজিটের নামে সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্নকারী একতরফা রেল করিডোর, কোটা পুনঃপ্রবর্তন বাতিল ও ডামি সরকারের পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবিতে এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদী অবস্থানের আয়োজন করা হয়। 

দলের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানার সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার। বক্তব্য দেন যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও বিএম নাজমুল হক, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, কেন্দ্রীয় নেতা কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, সহকারী সদস্যসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেইন, যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল ও কেন্দ্রীয় সদস্য এনামুল হক প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, এম আমজাদ খান, হাদীউজ্জামান খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, আব্দুল হালিম খোকন, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, আমেনা বেগম, রুনা হোসাইন, অ্যাডভোকেট তারেক আব্দুল্লাহ, ইকবাল হোসাইন, ফেরদৌসী আক্তার অপি, শরণ চৌধুরী, রিপন মাহমুদ, জামিল আব্দুর রব, আমান উল্লাহ সরকার রাসেল, পল্টন থানা আহ্বায়ক মুন্সি আব্দুল কাদের, সিএম প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মেজর (অব.) মিনার বলেন, বিনা বাধায়, অবৈধভাবে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যেই সরকার দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একতরফা ভাবে ভারতকে রেল করিডোর দিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, এই ডামি সরকার মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে ভূলুণ্ঠিত করে, আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে আবার নতুন করে কোটা প্রথা চালু করতে চাইছে। যা ছাত্রসমাজের আন্দোলনের মাধ্যমে বাতিল করা হয়েছিল। নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতেই এই সরকার আজিজ, বেনজিরদের মতো চোরদের জন্ম দিয়েছে বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ভারতকে করিডোর দিয়ে, জনগণের সম্পদ লুটপাটকারীদের সুবিধা দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আরও দীর্ঘায়িত করতে চায়। তিনি বলেন ডামি সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং গণতন্ত্র উদ্ধার করে দেশকে এই ফ্যাসিবাদিদের কবল থেকে মুক্ত করতে হবে। 

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, একটা সাধারণ রিকশা ওয়ালার সাথেও আমরা ভাড়া এবং গন্তব্যস্থান নিয়ে মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে রিকশায় চড়ি। কিন্তু ভারতের সাথে কীসের বিনিময়ে সরকার রেল, স্যাটেলাইট ও সামরিক চুক্তি করলো তা জনগণ কিছুই জানেনা। তিনি রেল ট্রানজিটের নামে কৌশলে ভারতকে একতরফা করিডোর প্রদান করে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বলেন; কানেকটিভিটির কথা বলে ভারত আমাদের দেশের ভেতর দিয়ে ট্রেনে করে তার এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে চলাচল করতে চাইলে বাংলাদেশের জনগণ কেন ভারতের মধ্যদিয়ে সড়কপথে নেপাল, ভুটান ও চীনে যাতায়াতের রাস্তা পাবে না? 

বৈষম্যমূলক কোটা পুনঃপ্রবর্তনের মাধ্যমে ৭১ পূর্ব পাকিস্তানি বৈষম্য বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে যাবে বলেও তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করেন। 

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, অতীতে আমরা দেখছি সেতু বা বড় প্রকল্পের কাজ শুরু করার সময় জাঁকজমক উদ্বোধনের নামে দেশের প্রচুর অর্থ অপচয় ও লুটপাট করা হয়। এবার পদ্মা সেতুর প্রকল্প সমাপনীর নাম করে সরকার নতুন উৎসব ও লুটপাটের নিয়ম চালু করেছে। যখন বৃহত্তর সিলেট ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার মানুষ বন্যায় বিপর্যস্থ সে সময় প্রকল্প সমাপনীর উৎসবে শত শত কোটি টাকা অপচয় ও লুটপাটের মাধ্যমে এই সরকার প্রমাণ করেছে জনগণ মরলে তাদের কিছু আসে যায় না। তিনি জনগণকে লুটপাটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্ন হত্যা করতে দেয়া যাবেনা। আওয়ামী মীরজাফর ও ঘসেটি বেগমদের আমরা কখনও ক্ষমা করবো না।

কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম বলেন; সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক কেন শুধু ভারতের স্বার্থে? তিনি অভিযোগ করে বলেন; ৫৪টি নদীর উজানে ভারত যে বাঁধ দিয়েছে তা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। তিনি সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে তিস্তা নদীসহ ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার চুক্তি কই? সরকার এত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশি জনগণকে নির্বিচার হত্যা বন্ধের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে না কেন? 

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন