আ.লীগ ভারতের কাছে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে: জামায়াত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম। আজ শুক্রবার ঝিনাইদহ জেলা জামায়াত আয়োজিত উপজেলা শূরা সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আলী আজম মো. আবুবকর সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল আউয়াল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন। আরও উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আব্দুল হাই, জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক মতিয়ার রহমান প্রমুখ।
তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগের ভারততোষণ নীতিই দায়ী। দেশবাসী মনে করে আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাই আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের কোনো অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করার সৎ সাহস পায় না। বাংলাদেশের জনগণ সব সময়ই প্রতিবেশীদের কাছে বন্ধু সুলভ আচরণ কামনা করে। আমরা আশা করব ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ড- বন্ধ করবে এবং প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা করবে।”
রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, আমাদের প্রত্যয় একটাই আল্লাহর পথে মোরা চলব। নিকষ কালিমা ভরা আকাশে ধ্রুব জ্যোতি তারার মতো জ্বলবো। বাংলাদেশের মানুষ আজ দিকভ্রান্ত তারার মত মুক্তির পথ খুঁজছে। তারা জামায়াতে ইসলামীকে মুক্তির কাণ্ডারি হিসেবে পেতে চায়। তাই জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে দেশ পরিচালনায়ও নেতৃত্ব দিতে হবে। এ জন্য জামায়াতের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দকে যুগের চাহিদানুযায়ী দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, পাড়া-মহল্লায় স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, সমিতি, সংঘ, ক্লাব গড়ে তুলতে হবে এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হবে। শালিস-দরবারে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বঞ্চিত, পথহারা ও এতিম শিশুদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সর্বোপরি বেশি বেশি সামাজিক কাজের মাধ্যমে মানুষের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করতে হবে। দেশ ও সমাজে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য গণমুখী চরিত্রের কোনো বিকল্প নেই।”
প্রধান অতিথি আরও বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, “ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায়ই বিনা কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার জন্য ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও হত্যাকাণ্ড ক্রমাগতভাবেই বাড়ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশিদের অন্যায় হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া খুবই উদ্বেগজনক। আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু ও দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির কারণেই ভারত বারবার বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে।