আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, যারা ভারত বিরোধীতা করে আসছে, তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু, পাকিস্তানের এজেন্ট। তাদের উচিত এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া।
তিনি মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের দুর্দিনের বন্ধু, যা রক্তের অক্ষরে লেখা। যুদ্ধের পর মিত্রবাহিনী এতো তাড়াতাড়ি দেশ ছেড়ে চলে যায় এমন ইতিহাস পৃথিবীর কোথাও নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঙ্গার পানি চুক্তি করেছেন। এবার তিস্তার পানির সমাধানে বিস্তারিত আলাপ করেছেন। আলোচনার মাধ্যমে তিস্তার পানির সমাধানও করবেন। স্বাধীনতার পর থেকে যারা ভারত বিরোধীতা করে আসছে, তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু, পাকিস্তানের এজেন্ট। তাদের উচিত এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বলেন, শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে দিচ্ছেন। আর কিছুদিন সময় পেলে দেশ তো তারা পাকিস্তানের কাছে বিক্রি করে দিত। বিক্রি নয়, এমনিতেই দিয়ে দিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ আমরা সমুদ্র বিজয় করেছি, সিটমহল বিজয় করেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যার তো কিছু চাওয়া-পাওয়া নেই। বাপ হারিয়েছেন, মা হারিয়েছেন, ভাই হারিয়েছেন। তার একটাই চাওয়া যদি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। শেখ হাসিনার একটা বাড়িও নেই। নিজে সরকারি বাড়িতে থাকেন, তার স্বামীর একটা বাড়ি আছে।’
বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় প্রস্তাবিত বাজেট অত্যন্ত সময়োপযোগী উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘বিএনপি ভারতের পণ্য বর্জন করতে বলে। নিত্যপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য আমাদের ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। চীন ও আমেরিকা পরষ্পর প্রতিদ্বন্দ¦ী হওয়া সত্ত্বেও আমেরিকা চীনের পণ্য বর্জনের কথা বলে না। বিএনপি’র উচিত হবে সবার আগে ভারতের কাপড়-চোপড় যা ঘরে আছে সেগুলো বর্জন করা।’
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কিছু কর্মীও তাঁকে বিরক্ত করেছিল। এজন্য অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করতে পেরেছিল। বঙ্গবন্ধু যাদেরকে নিজ হাতে খাইয়েছেন, মাসে মাসে টাকা দিয়েছেন, তারাও রেডিও স্টেশনে গিয়ে খুনিদের সমর্থন দিয়েছিল। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে, গণবাহিনীর নামে বিরোধীতা করেছেন। যারা বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করেছে, তারা নেত্রীকেও আঘাত করতে পারে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।’