খালেদা জিয়ার কিছু রোগ সারার মতো না: আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম
আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া চিকিৎসা পাচ্ছেন বলেই সুস্থ আছেন। তাঁর কিছু রোগ আছে, যেগুলো সারার মতো না। সেগুলোকে চিকিৎসার মাধ্যমে কমিয়ে রাখা হচ্ছে। তাঁর পেসমেকার লাগানোর পর অনেকটা সুস্থ আছেন।’ আজ সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এখানকার চিকিৎসকেরা যখন মনে করেছিলেন বাইরের দেশ থেকে চিকিৎসক এনে পরামর্শ নেবেন, সেটা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।’
এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদ্যন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টার আগে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি চিকিৎসকেরা।
এ দিন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টা না গেলে এই মুহূর্তে তাঁর (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করলে তা বিব্রতকর হয়ে যেতে পারে।’ পেসমেকার বসানোর পর খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা।
এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘তাঁর হার্টে তিনটি ব্লক ছিল। দুটি সারানো হয়েছে। আমি বারবার বলেছিলাম যেকোনো সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে। তাঁর হৃদ্যন্ত্রের কার্যক্রম এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল, গত শুক্রবার রাতে সেই অঘটনটিই ঘটতে যাচ্ছিল। সেই অবস্থায় তাঁর চিকিৎসকেরা দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর এবং চিকিৎসা শুরু করেন। আজ প্রথমে অস্থায়ী পেসমেকার এবং পরে স্থায়ী পেসমেকার লাগানো হয়। এই মুহূর্তে উনি চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আছেন।’
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া যেদিন অসুস্থ হয়েছিলেন রাত্রী বেলায়, শুক্রবার দিবাগত রাত্র ২টা ৮ মিনিটের সময়। আমি পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে টেলিফোন করেছিলাম একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে আমাদের সাহায্য করার জন্য। ওনাকে ট্রান্সফার করার জন্য। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, হাসপাতালের নাকি নিময় হচ্ছে, তাদের হাসপাতালেরই ভর্তি হলেই রোগীকে তারা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দিবে। এটা অ্যাম্বুলেন্স বা জরুরি চিকিৎসার কোনো নিয়ম হতে পারে?
তিনি আরও বলেন, দুই অ্যাম্পুল ইনজেকশনের জন্য তাদের অনুরোধ করেছিলাম। হসপিটালের ডিউটি ম্যানেজার ও চিকিৎসকদের। তবে তারা প্রত্যাখান করেছে। তাদের বক্তব্য ছিল রোগী তো আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হবে না। অর্থাৎ রোগী যদি তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাহলেই জরুরি চিকিৎসা পাবে। অন্যথায় পাবে না। এটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এই ধরনের জরুরি ব্যবস্থা এবং অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস আদৌও আছে কী না, আমার মনে হয় সত্যিকার অর্থে দেশে তো একটা নিয়মতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা নাই। সেই জন্য কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা কোথায় নাই।