এমপি আনার হত্যা
আ.লীগ নেতা মিন্টু গ্রেপ্তারের পর কোনো চাপ আসেনি: ডিবি প্রধান
ইউএনবি
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১২:০৬ এএম
ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশ চাপে নেই বলে জানিয়েছেন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হারুন বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের নিরপেক্ষভাবে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং ডিবি এই নির্দেশনা অনুসরণ করছে।’
তদন্ত চলাকালীন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি বা অযথা তলব করা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, 'তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।’
অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা সম্পর্কে হারুন বলেন, ‘আমরা ভারতের প্রত্যার্পণ চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে শাহীনকে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করার জন্য দেশটির পুলিশকে অনুরোধ করেছি। এ ছাড়া ডিবির একটি টিম ঢাকার আমেরিকান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছে।’
শাহীনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় ইন্টারপোলও কাজ করছে বলে জানান হারুন। ‘শাহীনকে ফিরিয়ে আনতে এবং মামলার আরও দু-একজন আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি। আমরা আশা করছি শিগগিরই মামলাটির সুরাহা হবে।’
এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ও তার ভারত সফর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, ভারতীয় পুলিশ হাইকমিশনের মাধ্যমে ডরিনকে এ সফরের অনুরোধ করেছে। গত কয়েকদিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছেন। তা থেকে সেরে উঠলে তিনি ভ্রমণ করবেন।
এমপি আনার গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান এবং ১৪ মে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ২২ মে তার মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গত ১৩ জুন এমপি আনরকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১১ জুন ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে মিন্টুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।