আজ ২০ জুন, বিএনপি মিডিয়া সেলের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২০২২ সালের এই দিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মিডিয়া সেল গঠন করে। এর উদ্দেশ্য ছিল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড প্রচার ও সাংবাদিকদের কাছে সহজে তথ্য পৌঁছানো এবং দলের নীতি, আদর্শ, দর্শন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সমূহকে কার্যকরভাবে দেশবাসীর সম্মুখে উপস্থাপন করা।
দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপি মিডিয়া সেলের নেতৃবৃন্দ অঙ্গীকার করেন, গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সামনের দিনগুলোতে যে সংগ্রামে জাতিকে অবতীর্ণ হতে হবে, সেই লড়াইয়ে জনমত গঠনে বিএনপি মিডিয়া সেল অতীতের মতোই সাহায্য করবে। তারা অভিন্ন সাহসী ভূমিকা পালন করবে।
বিএনপি মিডিয়া সেলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল। সদস্যসচিব হলেন শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। এছাড়া মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আখতার, মোর্শেদ হাসান খান, রুমিন ফারহানা, কাদের গনি চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, আলী মাহমুদ, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, ব্যারিস্টার আবু সায়েম, ডা. মোস্তফা আজীজ সুমন, মাহমুদা হাবীবা ও অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল।
বিএনপি মিডিয়া সেলের নেতারা বলেন, গণমাধ্যমে যেসব খবর গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব হয় না বিএনপি মিডিয়া সেল সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে। বিএনপি মিডিয়া সেল ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ, টুইটার অ্যাকাউন্ট, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন তথ্য প্রচার হয়। বাংলাদেশি ভয়েস নামে বিএনপি মিডিয়া সেলের ব্লগ রয়েছে। প্রিন্ট প্রকাশনা রয়েছে রোড টু ডেমোক্রেসি নামে ইংলিশ বুলেটিন। এর ফেইসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট রয়েছে।
নেতারা আরও বলেন, ২৪ ঘণ্টা অতন্দ্র বিএনপি মিডিয়া সেল অবরুদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত প্রচার মাধ্যমের বিপরীতে বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশনে তার দায়িত্ব পালন করে চলেছে। ইতিহাসের সাক্ষী ও প্রত্যক্ষ অবদান রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। এর মাধ্যমে বিকৃত ইতিহাসের বিপরীতে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হয়।
বিএনপি মিডিয়া সেলের নেতারা বলেন, সারাদেশের লাইভ করেসপন্ডেন্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। মিডিয়া সেলের তথ্যভাণ্ডারে ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সংবাদপত্রের আর্কাইভ করা হয়েছে। ‘ফোকাল পয়েন্ট’ নামে টকশো চালু করে সেখানে তরুণদের মতামত দেওয়ার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।
তারা আরও বলেন, ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে নেতা-কর্মীদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ, সিগন্যাল, টেলিগ্রামের মাধ্যমে এসব ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং যুগপৎ আন্দোলন সংগ্রামে শরিক দল গুলো রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি সরাসরি সম্প্রচারিত ও দ্রুত ছবি, ভিডিও পোস্ট করা হয়।
বিএনপি মিডিয়া সেলের নেতারা বলেন, তারা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের পক্ষে এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচারের যুক্তিসংগত খণ্ডনে ভূমিকা রাখতে সক্রিয় রয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে সাংবিধানিক ও ভোটাধিকার বিহীন জনগণ, নিমজ্জমান অর্থনীতি, প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ, সর্বগ্রাসী আওয়ামী দুর্নীতি ও নজিরবিহীন অর্থ পাচার, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, ফরমায়েশি শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে মেধাহীন প্রজন্ম তৈরির পরিকল্পিত দুরভিসন্ধি ও সর্বোপরি শুধুমাত্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করার দূরাভিলাষ থেকে একটি মূল্যবোধহীন পরবর্তী প্রজন্ম তৈরির মাধ্যমে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করণের হীন চক্রান্ত প্রতিহত করার জাতীয় দায়িত্ব থেকে তারুণ্যের অংশ গ্রহণে মুক্ত আলোচনা, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামসহ এজাতীয় আয়োজনের রূপকল্প অনুসরণ করছে।
নেতারা বলেন, গণমাধ্যমসমূহ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন ও নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা, বিএনপি বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়, বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা, সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়, বিদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়, লেখক-কলামিস্টদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
বিএনপি মিডিয়া সেলের নেতারা বলেন, নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানোসহ সাংবাদিক বা তাদের স্বজনদের মৃত্যুতে শোক ও সান্ত্বনা জানানো হয়। নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়। ইন্টারনেটের অধিকার নিয়ে যে সংগঠনগুলো কাজ করে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়। জাতীয়তাবাদী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের নিয়ে সমন্বিত নেটওয়ার্ক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভিত্তিহীন সংবাদ মোকাবিলায় ফ্যাক্ট চেকারদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়। সাইবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়।