প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দেশের স্বার্থ আদায়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের স্বার্থগুলো আদায়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, তবে তিস্তার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সম্মতির একটা বিষয় রয়েছে, যা সামাল দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ।
আজ বুধবার (১৯ জুন) সকালে সচিবালয়ে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ঈদযাত্রা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদ পরবর্তী ফিরতি যাত্রা এখনও শেষ হয়নি। ফিরতি যাত্রায় দুর্ঘটনা বাড়ে। তবে, এবছর এখন পর্যন্ত কম আছে। সব মিলিয়ে ৯৫ টি দুর্ঘটনায় হতাহত হয়েছেন ৯২ জন। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। এজন্য বেপরোয়া ড্রাইভিং-ও দায়ী। কিছু পরিবহন রাস্তার শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। দুর্ঘটনা রোধে দ্রুত নীতিমালা করতে হবে। মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকায় যে নিয়ম করা হয়েছে সেটা অনেক কাজে আসছে।
তিনি বলেন, ‘অনেক রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামত করা দরকার। মনিটরিং ও ভিজিট অব্যাহত রাখতে হবে। বড় বড় প্রজেক্টগুলো যা বিদেশি ফান্ডে হচ্ছে সেসব স্লো হয়েছে। সবারই বাজেট সংকুচিত। বিশ্ব সঙ্কটের রেশ কবে শেষ হবে সেটা বলা মুশকিল। বিশ্ব রাজনীতি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। কেউ ভালো নেই। আমাদের দ্রব্যমূল্য উদ্বেগ আছে। যা সত্য সেটা স্বীকার করতে সমস্যা নেই। বাজেট হয়েছে, ৩০ তারিখ পাস হবে। বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এরমধ্যেই আমাদের শ্যাম কূল দুটিই রাখতে হবে। সবাই কমিটমেন্ট নিয়ে কাজ করে যাবেন। দুটি মেট্রোর কাজ প্রক্রিয়াগতভাবে এগোচ্ছে। এলিভেটেডও চলছে। কাজ অনেকদূর এগিয়েছে। সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলায় সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। কারণ যে শৃঙ্খলা থাকা দরকার সেটা নেই। নিরাপদ সড়ক প্রকল্প বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে হবে। সেটা আমাদের ভোগাচ্ছে। কারণ এটার জন্য কথা শুনতে হচ্ছে। এ প্রকল্পে নজরদারি বাড়াতে হবে। বড় প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ বড় সমস্যা।’
মিয়ানমার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিরোধী দলের একটা ভাষা আছে। সেটা কমন। কিভাবে নতজানু পররাষ্ট্র নীতি। সেখানে যে জাহাজ এসেছে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আলাপ আলোচনায় সমাধান হবে, যুদ্ধে জড়াব না। আমরা সরকারে আছি। আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। সার্বভৌমত্ব চলে গেলে আমাদেরই বেশি ব্যাথা লাগবে। কারণ দেশে স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আমাদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ ছিল। তখন ফখরুল সাহেব কোথায় যুদ্ধ করেছেন তিনিই ভালো জানেন। যুদ্ধ চাপিয়ে দিলে কি আমরা বসে বসে আঙ্গুল চুষবো। সীমানায় থাকলে সতর্ক থাকতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘ঈদ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুরকে বলবো- গতবারের চেয়ে তিন লাখ পশু বেশি কোরবানি হয়েছে। যোগাযোগে কিছুটা ভোগান্তি থাকলেও মানুষের মধ্যে একটা স্বস্তি ছিল। ঈদের একদিনেই পদ্মা ও যমুনা সেতুতে নয় কোটি টাকা টোল আদায় হয়েছে। এটা বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা।’