অর্থনীতির মতোই রাজনীতি নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। বর্তমান রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ‘সিটিজেনস প্রোটেকশন সার্ভে অন দ্য গভর্ন্যান্স, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি’ শিরোনামে এই সমীক্ষা চালানো হয়।
এছাড়া সমীক্ষায় অংশ নেওয়া অর্ধেকের বেশি মানুষ মনে করেন ‘বাংলাদেশ ভুল পথে এগোচ্ছে’। দেশের অর্থনীতি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তারা এমনটি মনে করেন। তারা বলছেন, গত পাঁচ বছর তুলনায় এখন মানুষের আশা আরও কমেছে।
দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং বিআইজিডি বলছে সমীক্ষায় তারা প্রতিটি জেলা থেকে ১০৬ জনের কাছে মতামত নিয়েছে। আর সর্বমোট ৬ হাজার ৭৮৪ জনের উত্তর এবং মতামতের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ২০১৫, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২২ সালেও একই ধরনের সমীক্ষা চালানো হয়েছিল বলেও জানিয়েছে তারা।
চলতি বছরের সমীক্ষায়, শুধুমাত্র নিম্নআয়ের মানুষের নয়, দেশের সব শ্রেণির আয়ের মানুষের মধ্যে অর্থনীতি এবং রাজনীতি নিয়ে প্রত্যাশা কমছে বলে দেখা গিয়েছে। এনিয়ে আগের তুলনায় তাদের মধ্যে হতাশা বেশি আসছে তাও উঠেছে এসেছে সমীক্ষায়।
সমীক্ষা আরও উঠে এসেছে, বাংলাদেশের সব শ্রেণির আয়ের মানুষের মধ্যে অর্থনীতি সম্পর্কে আশাবাদ কমছে। যাদের আয় কম তাদের মধ্যে অর্থনীতি নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব সবচেয়ে বেশি। ২০১৯ সালে নিম্ন আয়ের ৮৪শতাংশ মানুষ জানিয়েছিলেন অর্থনীতি সঠিক পথে রয়েছে। চলতি বছরে এই মনোভাব পোষণ করে মাত্র ৪২ শতাংশ মানুষ। অর্ধেকের বেশি মানুষ মনে করেন ভুল পথে চলছে বাংলাদেশ।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ শতাংশ মানুষ মনে করত সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ ‘ভুল পথে এগোচ্ছে’। এখন এই কথা মনে করেন ৫৮ শতাংশ মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে দেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সমস্যা বলে মনে করে প্রায় অর্ধেক মানুষ।
মূল্যবৃদ্ধি মানুষের জীবন-জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন ৯৫ শতাংশ মানুষই। এইসঙ্গে বাংলাদেশের ১৪ শতাংশ নাগরিক মনে করেন সরকারের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। ২০২২ সালে এই মনোভাব ছিল ৯ শতাংশ বাসিন্দার মধ্যে।