খেলাফত মজলিসের বৈঠকে বক্তারা
লড়াই ছাড়া কোনো কিছু অর্জন হয় না
সরকার পতনের আন্দোলনে সবাইকে মাঠে ঐক্য গড়ে তুলতে আহ্বান জানানো হয়েছে। শনিবার (১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে ‘জাতীয় সংকটঃ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে নেতারা এ আহ্বান জানান। নেতারা বলেন, সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক আসলে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এজন্য ময়দানে ঐক্য হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। তিনি বলেন, ইসলাম বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও, দেশ বাঁচাও- আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। জগদ্দল পাথরের মত জাতির ঘাড়ে চেপে বসা জুলুমবাজ সরকার পতনের জন্য ময়দানে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
বৈঠকে অংশ নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, লড়াই ছাড়া কোনো কিছু অর্জন হয় না। জালেমের সঙ্গে কোনো আপোষ হবে না। পাতানো নির্বাচন দিয়ে এই সরকারের পতন হবে না। আন্দোলনের ডাক দিতে হবে। ময়দানে ঐক্য হবে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, জাতীয় সংকটের শুরু ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচন বানচালের মধ্য দিয়ে। এই সংকট দেশের বাইরে থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করতে বাইরের শক্তি ষড়যন্ত্র করছে। এই অবস্থা থেকে দেশ ও জাতীকে মুক্ত করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, দেশের প্রধান সংকট রাজনৈতিক। সেখান থেকে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতি সহ সকল সংকট সৃষ্টি হয়েছে। নৈতিক মূল্যবোধ বিবর্জিত জনগোষ্ঠী সৃষ্টি হচ্ছে। ভারত কখনো বাংলাদেশের ভালো বন্ধু ছিল না। রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। আলেম-উলামাদের পক্ষ থেকে জাতীর এই ক্রান্তিলগ্নে ডাক আসতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোন নির্বাচন সম্ভব নয়।
বৈঠকে আরো বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিস নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আঁকন, সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, ডেইলী নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার প্রমুখ।