Logo
Logo
×

রাজনীতি

তারেক রহমান দেশে আসলে তার ঢেউয়ে সরকার ভেসে যাবে: গয়েশ্বর

Icon

ঢাকা অফিস

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম

তারেক রহমান দেশে আসলে তার ঢেউয়ে সরকার ভেসে যাবে: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপিকে ধ্বংস করতে খালেদা জিয়াকে প্রায় ৭ বছর বন্দী করে রাখা হয়েছে। সরকারের সে হীন চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছে। আজকে দেশের মানুষের আস্থাস্থলে পরিণত হয়েছেন তারেক রহমান। এই তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। যেদিন সে আসবে তার ঢেউয়ে আপনারা কোথায় ভেসে যাবেন তা চিন্তা করুন।

আজ শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের নিচতলায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। 

গয়েশ্বর আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, যুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া কোথায় ছিলেন? জিয়াউর রহমান সম্মুখ যোদ্ধার অপরাধে দুই শিশু সন্তানসহ বন্দী রাখা হয় খালেদা জিয়াকে। আপনি প্রধানমন্ত্রী সে সময় কোথায় ছিলেন? সেসময় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির ভাড়া কারা দিয়েছে? কারা আপনার বাসায় নিরাপত্তা দিতো? আপনি যুদ্ধের সময় যখন মেডিকেল চেক-আপ করাতেন তখন সে গাড়ির চালকও ছিল পাকিস্তানি আর্মি। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) পাকিস্তানিদের টাকায় খাবার খেয়েছেন। যাদের কোনো অবদান নেই তারাই এগুলো বলতে পারে। স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে বহুদলীয় গণতন্ত্র সবই জিয়া পরিবারের অবদান। 

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আজকে বিদেশি রেমিট্যান্স ও গার্মেন্টসের ওপর ভর করে রাষ্ট্র চালাচ্ছেন। এগুলোও জিয়াউর রহমানের অবদান। জিয়া শুধু বীর উত্তম নন, উত্তমের উত্তম। জিয়াউর রহমানের সততা নিয়ে কারো কথা বলার সুযোগ নেই। 

তিনি বলেন, বন্যরা বনে সুন্দর, আর ছাত্ররা শিক্ষাঙ্গনে। ছাত্ররা শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারবে না। ক্লাস করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তাক্ত হয়ে ফিরে আসতে হয়। প্রতিদিন আদালতের বারান্দায় হাজিরা দিতে যেতে হয়। আগ্রাসী শক্তি ছাত্র-যুবকের কণ্ঠরোধ করছে। ১৭ বছরে অনেক মেধাবী ছাত্রের জীবন ধ্বংস করা হয়েছে। যুবকেরা নিজ নিজ স্থান থেকে বিতাড়িত হয়ে রাজপথে ঘুরছে। আজকে ছাত্রদের যুদ্ধ করে প্রতিষ্ঠানে টিকে থাকতে হচ্ছে। এটি একটি অভিশপ্ত জীবন। 

অনুষ্ঠানে ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রদলকে কোথায় সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। প্রেসক্লাবসহ কোনো জায়গায় হল দিচ্ছে না। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের বিতাড়িত করা হয়েছে। বারবার রক্তাক্ত হয়েছি। তবু আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িনি। আজকে প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। ছাত্রলীগকেও সে পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি থাকার আহ্বান জানান ছাত্রদল নেতারা। 

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মো. ইয়াহিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) জাহাঙ্গীর আলম, প্রচার সম্পাদক (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা) শরিফ প্রধান শুভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গনেশ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, ঢাকা পূর্ব ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ খালিদ হাসান জ্যাকি, সদস্য সচিব আল আমিন, দক্ষিণের আহ্বায়ক পাভেল সিকদার, সদস্য সচিব নিয়াজ মাহমুদ নিলয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম, সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মেহেদী হাসান রুয়েল, সাধারণ সম্পাদক রাসেল বাবু, ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি নাসির আনান, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ, ঢাকা কলেজের সভাপতি শাহীনুর রহমান (শাহীন), সাধারণ সম্পাদক জুলহাস মিয়া (মৃধা জুলহাস), সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমান এমদাদ, সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. ফয়সাল দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন খান, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুর রহমান সাইদ, সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন, সরকারি বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেন সোহাগ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আবু হোরায়রা, সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি, আহমেদুল কবীর তাপস, সাধারণ সম্পাদক বি.এম. আলমগীর কবীর প্রমুখ।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন