আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সারা রাত জেগে ঝড় মোকাবিলার নানা প্রস্তুতি মনিটরিং করেছেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৭ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আবহাওয়া ভালো হলে প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আওয়ামী লীগের বিভাগীয় টিমগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাবেন।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বলে সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের উল্লেখ করেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেশের উপকূলে ১১১ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হেনেছে। উপকূলীয় এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি। ৬ জন মারা গেছে বলে শুনেছি। ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়েছে বেশি। বাঁধ ভেঙে গেছে, ঘরবাড়ি ভাঙাসহ নানা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়টি রোববার রাত ৮টার দিকে উপকূলে আঘাত করে। এই ঝড়ের প্রভাবে গতকাল থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, ভোলা, চট্টগ্রামে মোট ৭ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এদিকে, সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শক্তি হারিয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল স্থল গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়িয়ে তা স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে। পাশাপাশি বন্দরগুলোকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।