আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। তাই সোমবার থেকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়া নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া (শোকজ) শুরু করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার কারণ দর্শানোর এই চিঠি দেওয়ার কার্যক্রম শেষ করা হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো শোকজের চিঠিতে ওই নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে কিংবা কেউ জবাব না দিলে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে। বিএনপির দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দলের কঠোর অবস্থানের মুখেও তৃতীয় ধাপে বিএনপির অন্তত ১৮ জন নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এই ধাপে দলটির ২৩ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে পাঁচজন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এই ১৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সবাইকে শোকজ করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে পাঁচজন রয়েছেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদেও দলের আর প্রার্থী রয়েছে বলে জানা গেছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনও দলীয়ভাবে বর্জন করেছে বিএনপি। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোট করায় প্রথম ধাপে ৮০ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৬৪ জনকে বহিষ্কার করে দল। তবে বহিষ্কার সত্ত্বেও প্রথম ধাপে তাদের ৭ জন চেয়ারম্যান এবং ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত তৃতীয় ধাপের শোকজ চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপির নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আপনার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।