বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর থেকেই এই জাতিকে বিভক্ত করে দেশে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেরা নির্বাচন ছাড়া কারো সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আওয়ামী লীগ কখনো দেশের মানুষকে নিয়ে, গণতন্ত্রকে নিয়ে চিন্তা করে না। তারা শুধু নিজেদের নিয়ে চিন্তা করে, যেটা আমরা স্বাধীনতার পরেই দেখেছিলাম।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের কনফারেন্স রুমে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে দিল্লির নির্বাচন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সংকট উত্তরণে গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুস সালাম বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) এই দেশে দুর্ভিক্ষ এনেছিল। দেশের ব্যাংকগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। অথচ তাদের আইনের আওতায় আনা হয় নাই। বেগম জিয়া দুই কোটি টাকা ট্রান্সফার করেছে, এতেই তার জেলে আটক রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের প্রতিটা সেক্টর দখল করেছে, দলীয়করণ করেছে। আওয়ামী লীগ দেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চায়। আর সেই সুযোগে তারা ক্ষমতায় চিরস্থায়ীভাবে থাকতে চায়। ভারত মুক্তবাজার অর্থনীতি কাজে লাগাই, কিন্তু আমাদের সেটা করতে দিবে না। ভারত বাংলাদেশে যেভাবে ওপেন ব্যবসা করে আমাদের ভারতের সেভাবে করতে দেবে না।
তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নাই। কিন্তু ভারত যে আমাদের নির্বাচন নিয়ে মাথা ব্যথা করে, এইটা নিয়ে আমাদের কথা আছে। ভারতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক বাংলাদেশের প্রতি তাদের আধিপত্য থাকবেই।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরো বলেন, ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তা করেছিল সেজন্য তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি আছে। কিন্তু তারা নগ্নভাবে বাংলাদেশের সমস্ত বিষয়ের ওপর হস্তক্ষেপ করবে এটা কোনোক্রমেই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ আজ বলে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে কিন্তু দেশ চালায় তো ভারত। আওয়ামী লীগের সাথে যারা আছেন তাদের বলব, আওয়ামী লীগ থেকে অপমান ছাড়া কিছুই পাবেন না। জনগণের সরকার যদি ক্ষমতায় না থাকে তাহলে দেশের জনগণ কোথাও সুযোগ-সুবিধা পায় না। আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য গণঅভ্যুত্থানের বিকল্প নাই। তাই আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে দাঁড়িয়ে দেশের জনগণের অধিকার আদায় করি।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে বৈঠকে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অহিদুজ্জামান দিপু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুর রহমান ফুয়াদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।