সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আগামীকাল সোমবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সড়ক অবরোধ করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এই ঘোষণা দেন। আর আন্দোলনে কোনো ধরনের বাধা দেওয়ার চেষ্টা হলে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের দাবি মেনে নেন। না হয় ১০০ শতাংশ কোটা দিয়ে দেন। ঘোষণা করে দেন— এটা কোটাধারীদের দেশ। আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্রধর্মঘট চলবে। পাশাপাশি `বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিও চলবে।
সারা দেশে এ কর্মসূচি পালন করারও আহ্বান জানিয়ে নাহিদ আরও বলেন, `আমরা সংবিধান স্বীকৃত বিষয়ে কথা বলছি, সংবিধানে সমতার কথা বলা আছে। আমাদের আদালত দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা সংবিধান স্বীকৃত বিষয়ে আন্দোলন করছি।
এর আগে বেলা ৩টা ২০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে টিএসসি হয়ে বেলা ৩টা ৫২ মিনিটে শাহবাগ মোড় গিয়ে থামে। তারপর তারা সেখানে অবস্থান নেন।
আজ সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে তারা শাহবাগ ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
আজ ঢাকা ছাড়াও সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। এদিকে বাংলা ব্লকেডের অংশ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা আগামীকাল রেলপথ অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ছাত্র আন্দোলন চলছে।
এর আগে ২০১৮ সালে সরকার ব্যাপক ছাত্র আন্দোলনের মুখে নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেডের চাকরি থেকে সব ধরনের কোটা বাতিল করেছিল। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটাও বাতিল হয়। হাইকোর্ট গত ৫ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপর থেকে ফের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে কোটা বাতিলের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়।