দাঁতের ব্যথায় নাজেহাল?
দেখে নিন সহজ ঘরোয়া টোটকা
দাঁতের ব্যারাম সাধারণত শুরু হয় খাদ্যকণা জমে থাকলে! সেই খাদ্য পচে জন্মায় জীবাণু (ব্যাক্টেরিয়া)!
ভাত ও সবজির মতো খাবার সহজেই ধুয়ে পেটে চলে যায় অথবা কুলকুচিতে বের হয়ে আসে। পচলেও শিগগির পচে যায়। বিপত্তি বাধায় মাংস! মাংসের ক্ষুদ্র কণা দুই দাঁত বিশেষত দুই মাঢ়ির মাঝখানে আটকে থাকে। সেটা ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পচতে শুরু করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে পচে। এই দীর্ঘ সময় ধরে জীবাণু জন্মাতে থাকে। তারা পচা মাংসের পাশাপাশি আপনার মাঢ়ির মাংসও খেতে থাকে। ফলে ক্ষত হয়। ঘা হয়। শুরু হয় ব্যথা। বলা যেতে পারে, ব্যথা মানেই ক্ষত।
কী করা?
খাওয়ার পরপরই নিশ্চিত করুন যে, কোনো ধরনের খাদ্যকণা দাঁতের ফাঁকে জমে নেই।
যদি ক্ষত হয়েই যায়, ব্রাশ করুন হালকাভাবে, যেন ক্ষত বেড়ে না যা। ওই স্থানে যেন খাবার স্পর্শ না করে। প্রয়োজন তরল খাবার, সুপ ইত্যাদি খান। ভাত খাবে ডাল বা দুধ দিয়ে। চুমুক দিয়ে। ইত্যাদি।
আরও উপকার পেতে হলে
সমপরিমাণ কালো গোলমরিচের গুঁড়া আর লবণ নিন। সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট বানান। আক্রান্ত স্থানে কিছুক্ষণের জন্য লাগিয়ে রাখুন। কিছুদিন নিয়মিত করবেন।
অথবা
কয়েকটি রসুনের কোয়া সামান্য ছেঁচে কিছুটা লবণ মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন।
অথবা
দুটি লবঙ্গ পিষে অল্প অলিভ অয়েল বা যেকোনো ভেজিটেবল অয়েলের সাথে মিশিয়ে ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখুন।
অথবা
কাঁচা পেঁয়াজ চিবিয়ে রস লাগিয়ে রাখুন ক্ষতস্থানে। কিছুক্ষণের জন্য।
অথবা
তুলার বল বানিয়ে ভ্যানিলা এক্সট্রাক্টে ডুবিয়ে নিন। ব্যথার স্থানে লাগান। দিনে কয়েকবার লাগান।
অথবা
ওরাল পেস্ট কিনতে পাবেন ফার্মেসিতে। ডাক্তার দেখিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
এই ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বণ করা ছাড়াও আপনার নিকটস্থ ডেন্টিস্টের সাথে দেখা করুন। কেননা অনেক ডেন্টাল আর গাম প্রব্লেমের জন্য এই ধরণের ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট নয় বরং অনেক ভালো ট্রিটমেন্ট অতীব জরুরি।
• এই লেখাটি কোনো চিকিৎসাপত্র না। প্রাথমিক সচেতনতার জন্য লিখিতি। ক্ষত গভীর হলে অথবা দীর্ঘমেয়াদি ভালো ব্যবস্থা চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।