Logo
Logo
×

অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০২:৫৮ এএম

মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ

২০২৩ সালে নতুন করে ১২ কোটি নারী মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছেন। আর বর্তমানে ১৫০ কোটি নারী মোবাইল ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত। যা এ অঞ্চলের মোট নারীর ৬৬ শতাংশ। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে (এলএমআইসি) আরও বেশিসংখ্যক নারী মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। 

এশিয়ার দেশগুলোতে (ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া) লিঙ্গ-নির্বিশেষে মোবাইলের মালিকানার অনুপাত কাছাকাছি। তবে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের লিঙ্গ ব্যবধানও সবচেয়ে বেশি ৪০ শতাংশ। বাংলাদেশে পুরুষদের মধ্যে মোবাইল মালিকানার অনুপাত ৮৫ শতাংশ হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করেন মাত্র ৪০ শতাংশ। 

আর নারীদের মধ্যে ফোনের মালিকানা ৬৮ শতাংশ, কিন্তু মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন মাত্র ২৪ শতাংশ। কিন্তু অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে লিঙ্গ ব্যবধান ভারতে ৩০ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ৮ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ৩৮ শতাংশ। 

জিএসএমএয়ের বার্ষিক ‘মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। ১৫ মে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। 

প্রতিবেদনের এই সপ্তম সংস্করণে ১২টি এলএমআইসি দেশজুড়ে নারীদের মোবাইল ব্যবহার এবং ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণায় নারীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের পথে বাধাগুলো খুঁজে দেখা হয়েছে এবং সেগুলো পুরুষদের সঙ্গে তুলনা করে দেখা হয়েছে। 

ইউকে ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস এবং জিএসএমএ মোবাইল ফর ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি তৈরি সহায়তা করেছে সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি (সিডা)। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনও এতে আংশিক অর্থায়ন করেছে। 

এলএমআইসি দেশগুলোর মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য এখনো মূলত মোবাইল ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল। দেখা গেছে, ২০২৩ সালে মোট ব্রডব্যান্ড সংযোগের ৮৪ শতাংশই মোবাইল ইন্টারনেট। 

তবে, উদ্বেগের বিষয় হলো, এখনো ৭৮ কোটি ৫০ লাখ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। এর প্রায় ৬০ শতাংশই বসবাস করেন দক্ষিণ এশিয়া এবং সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে। 

প্রতিবেদনে মোবাইল মালিকানা এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে লিঙ্গ ব্যবধান কমাতে, সর্বত্র নারীদের জন্য আর্থ-সামাজিক সুবিধাগুলো নাগালে আনতে অংশীজনদের উদ্দেশে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। 

২০২৪ সালের প্রতিবেদনে লিঙ্গ ব্যবধানে একটি পরিবর্তনের চিত্র উঠে এসেছে। দেখা গেছে, এলএমআইসি জুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে লিঙ্গ ব্যবধান কমে এসেছে। 

২০২৩ সালে পুরুষদের তুলনায় নারীদের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার না করার অনুপাত ছিল ১৫ শতাংশ কম। যা ২০২২ সালে ছিল ১৯ শতাংশ। এই ব্যবধানটি কোভিড মহামারি পূর্ব স্তরে ফিরে এসেছে। ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলো এ বছরের চিত্র পাল্টে দিয়েছে। এখন নারীদের মোবাইল ইন্টারনেটে যুক্ত হওয়ার হার পুরুষদের ছাড়িয়ে গেছে। সাব-সাহারা আফ্রিকায় পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো লিঙ্গ ব্যবধান কিছুটা সংকুচিত হয়েছে। 

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন