স্বাস্থ্য উপদেষ্টা শুনতে পাচ্ছেন?
ড. মো. আদনান আরিফ সালিম
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
বাঁশের একটা খাটিয়ায় নিজের ভাইয়ের লাশ। সামনে থেকে সেই লাশ বয়ে নিয়ে যাচ্ছে তারই আপন দুই বোন। সামনে থেকে একজন চিৎকার করে শ্লোগান দিচ্ছে ‘বিচার চাই ! বিচার চাই! আমার ভাই মরল কেনো? খুনি হাসিনার বিচার চাই!’ তাদের ভাই কেনো মরেছে প্রশ্নের উত্তরটা আমরা কমবেশি সবাই জানি। তাদের ভাইকে গুলি করে ফেরে ফেলা হয়েছিল। কারণ অনৈতিক, অযৌক্তিক, হঠকারি এবং গণধিকৃত বাকশালী কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে তাদের ভাই প্রতিরোধ করতে চেয়েছিল। আরও শতসহস্র তরুণের মতো তাদের ভাইও চিৎকার দিয়ে উত্তাল করেছিল রাজপথ: ‘কোটা না মেধা!! মেধা মেধা’।
ফ্যাসিবাদী শক্তি তার এই প্রতিবাদ নিতে পারেনি। তাই প্রকাশ্য রাজপথে গুলি করে মেরেছিল তাকে। বৈষম্যবিরোধী এইসব শিক্ষার্থীর প্রতীক হয়ে যাওয়া আবু সাঈদও ঠিক এভাবেই দুদিনে দু হাত প্রসারিত করে গুলি খেয়ে দিনদুপুরে জান দিয়েছিলেন। যখন কোটার শক্তিতে বলীয়ান শকুনিরা সবকিছু খুবলে খাচ্ছিল... পরভোজী আগাছা, পরগাছা কিংবা পরজীবী কৃমির মতো একটা শ্রেণী যখন দেশের সবকিছু শুষে নেওয়াতে শুকিয়ে যাচ্ছিল মেধাবীরা.. মেধার উপযুক্ত বিকাশের সুযোগ না থাকায় তৃষ্ণার্ত লাখো-সহস্র তরুণের জন্য মীর মুগ্ধ প্রশ্ন করেছিলেন, ‘ কারো পানি লাগবে?’ তাকেও গুলি করে ফেলে দিয়েছিল ফ্যাসিবাদী পুলিশ।
কত রক্তপাত। কত না অশ্রুজল ! অজস্র প্রাণ সংহারের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বিদায়। সম্পূরক হাজারটা কারণ থাকলেও এর মূল কারণ সেরেফ একটাই। আর সেটা হচ্ছে ‘অনৈতিক কোটা সুবিধা নিয়ে একটি শ্রেণি দেশের সবকিছু শুষে খাচ্ছে, অন্যরা থাকছে অভুক্ত’। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব উচ্চশিক্ষায় ভর্তি কিংবা সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান এই কোটা পদ্ধতি ছিল যত নষ্টের মূল। এর মাধ্যমে যোগ্য ও মেধাবীরা যখন বঞ্চিত হচ্ছিল, তার বিপরীতে ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছে যত অথর্ব, অযোগ্য ও অপদার্থের দল। প্রথমে প্রতিবাদ, তারপর প্রতিরোধ এবং পরিবেশে গণপ্রতিরোধ থেকে জনতার সংগ্রামে পতন ঘটেছিল প্রবল পরাক্রান্ত ফ্যাসিবাদী সরকারের।
নতুন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাত্রা শুরু করেছে। সেখানে বহুবিধ সংস্কারের স্বপ্ন দেখিয়ে ধীরে ধীরে পর্বতের মুসিক প্রসবের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের ছবি অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে এমন কিছু মানুষের সঙ্গে যা ছিল পুরোপুরি অনাকাঙ্ক্ষিত। আজীবন বিরোধীর তকমা গায়ে এঁটে বেড়ানো অনেকেই ফ্যাসিবাদের দোসরকে রক্ষা করতে গিয়ে তার মুখে তুলে দিয়েছেন কেক। তারপর এতোদিনের ফেক বিরোধিতার জন্য ছিঃ চিৎকারে বেশ দগ্ধ হয়েছে অন্তর্জালে। বিপ্লবীদের বিভাজন আর ক্ষমতা দখলের ঘৃণ্য লড়াই নিরাপদে পালানো কিংবা আত্মগোপনে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে চিহ্নিত অপরাধীদের। তার থেকেও নিকৃষ্ট ব্যাপার হচ্ছে, যে নিকৃষ্ট কোটাপ্রথার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী-জনতার এই সংগ্রাম, এতো আত্মত্যাগ আর রক্তদান, সে কোটা এখনও বহাল তবিয়তে টিকে আছে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায়।
বিভিন্ন দৈনিক সরাসরি লিখেছে, ‘২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০ নম্বর পেয়েও যেখানে হাজারও শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, সেখানে বিভিন্ন কোটায় ৪১-৪৬ নম্বর পেয়েও আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।’
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় ওঠাটাই কাম্য ছিল। এর থেকে অনেক বড় রকমের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ এবং পরিবেশে প্রতিরোধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে শুরুতে স্বভাবসিদ্ধভাবে ক্ষোভ জানিয়েছে অনেক বেশি নম্বর পেয়েও বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। বাস্তবে যোগ্যদের বাদ দিয়ে অযোগ্য-অপগণ্ডদের কেনো মেডিকেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে পড়তে দেওয়া হচ্ছে এটাও অনেক বড় প্রশ্ন।
রোববার ১৯ জানুয়ারি বিকেল থেকেই উত্তাল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিশেষত, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার পর থেকেই পুরো উত্তাল হয়েছেন একটিভিস্টরা। অল্প কয়েকদিন আগে যে দেশবাসী বৈষম্যের বিরোধিতা করে জীবন দিয়েছেন তাদের সঙ্গে এক নির্লজ্জ প্রহসন এই কোটা পদ্ধতি।
লজ্জার বিষয় হচ্ছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ‘দেশের ৫৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ৫ হাজার ৩৮০টি আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার জন্য ২৬৯টি এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ৩৯টি আসন সংরক্ষিত। মুক্তিযোদ্ধা কোটার ২৬৯টি আসনের মধ্যে ১৯৩ জন ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর তুলতে পেরেছেন। মুক্তিযোদ্ধার বাকি আসনগুলো মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হয়েছে।’ কিন্তু বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের পর এই হঠকারি সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত ছিল না। সব ধরনের ভর্তি ও চাকরির থেকে কোটা পদ্ধতির সমাধি রচনা ছিল সময়ের দাবি। কিন্তু সেটা না করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের পর সফল অভ্যুত্থানকে এখন বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে।
অথচ একটাই মাত্র যতিচিহ্নের প্রয়োগ হতে পারতো স্বাভাবিক। তা হচ্ছে ‘দাড়ি’ অথবা ‘ফুলস্টপ’।
সম্প্রতি ওষুধের উপর ভ্যাট আরোপের মধ্য দিয়ে জনদুর্ভোগ অনেকটাই চরমে উঠেছে। সেখানে হঠাৎ করে কোটায় মেডিকেলের ভর্তির ঘটনা নতুন করে জনমনে বিদ্যমান ক্ষোভ উষ্কে দিতে পারে। সে হিসেবেও সিদ্ধান্তটি হঠকারী।
বড় ছোট সবাই মিলে যদি আবারও তাদের সমর্থন যোগায়, কিংবা সেই সমর্থনে যদি এগিয়ে আসে পলাতক ফ্যাসিবাদী শক্তির কেউ, এজন্যই আমি স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাচ্ছি জুলাই-আগস্ট শিক্ষার্থী-জনতার বিপ্লব মতান্তে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা তো এই রকম কোটার বিরোধিতা থেকেই। হ্যালো স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ! আপনি শুনতে পাচ্ছেন কি?
হ্যালো স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ! আপনাকেই বলছি। স্বাস্থ্য খাতের সমস্যা তো গুরুতর। জুলাই আন্দোলনে মাঠের লড়াইয়ে পুলিশের গুলি কিংবা ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসীদের আঘাতে আহতরা অনেকেই সুচিকিৎসার অভাবে এখনও কাতরাচ্ছেন। অনেকে হারিয়েছেন তাঁদের হাত, পা, বিভিন্ন অঙ্গ এমনকি চোখ। কিন্তু তাদের উপযুক্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আপনার মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। ওদিকে আপনারা অন্য পণ্যের সঙ্গে ওষুধের উপর অতিরিক্ত করারোপ বন্ধ করতে পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে জনজীবনে নাভিশ্বাস তোলার ক্ষেত্রে আপনার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার তালিকা তাই নাতিদীর্ঘ থেকে এখন বেশ দীর্ঘ।
মর্মান্তিক এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দৈনিকে প্রচারিত সংবাদে জানা যাচ্ছে, নবজাতককে টিকা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েও টিকা দিতে পারছেন না অনেক মা-বাবা। তাদের জানানো হচ্ছে যে সরকারিভাবে যে চারটি টিকা দেওয়া হয়, তার কোনো সরবরাহ নেই। এমন পরিস্থিতিতে নবজাতককে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরতে বাধ্য হচ্ছে বিপদাপন্ন মা-বাবা। তারা অনেকেই নির্ধারিত সময়ে শিশুকে টিকা দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।
তাদের দুশ্চিন্তার কারণও আছে। বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআইয়ের টেকনিশিয়ানরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বছরের শেষে এসে ফুরিয়ে গেছে সরকারি সরবরাহের টিকা। তাই গত বছরের ডিসেম্বরের শুরু থেকেই টিকার যে স্বল্পতা দেখা দিয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। ওদিকে নতুন সরবরাহ না আসা পর্যন্ত এ সমস্যা মিটে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই। যতদূর জানা গিয়েছে রাজধানী ঢাকার মহাখালী ইপিআই কেন্দ্র থেকে সারাদেশে টিকা সরবরাহ হয়। সেখান থেকৈ গত দুই মাসে উপযুক্ত সংখ্যায় চাহিদা অনুযায়ী চার ধরনের টিকা সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। তবে তারা আশাবাদী, আগামী এক মাসের মধ্যে টিকা আসলে তখন এ সংকট থাকবে না। কিন্তু এই সময়ে টিকা দান করা না গেলে কত শিশু অসুস্থ হয়ে পড়বে সেটা নিঃসন্দেহে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কাছে চরম দুশ্চিন্তার।
যতদূর জানা গিয়েছে, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) শিশুর জন্মের পর থেকে ২৩ মাস বয়সের মধ্যে প্রায় ১০টি বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে সাত ধরনের টিকা দিয়ে থাকে। বিসিজি, ওপিডি বা পোলিও, আইপিভি, পিসিভি, পেন্টা ভ্যালেন্ট, এমআর-১ ও এমআর-২ টীকা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া কথা থাকলেও গত প্রায় এক মাস ধরে বিভিন্ন উপজেলায় বিসিজি, পেন্টা ভ্যালেন্ট, ওপিডি ও এমআর (হাম ও রুবেলা) টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। এমনি পরিস্থিতিতে প্রতিদিন সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে টিকা দিতে পারছেন মা-বাবারা। তারা শিশুদের টিকা দিতে না পারায় চরমভাবে উদ্বিগ্ন। তাদের অনেকেই ইপিআই টিকাদানকারী স্বাস্থ্য সহকারী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন। এছাড়া টিকাবঞ্চিত শিশুর অভিভাবকদের আর কীইবা করার আছে?
যদি এই ব্যাপারে কিছু করার থাকে সেটা খোদ সরকারের। আর বিশেষ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা স্বয়ং চাইলে উপরে বর্ণিত তিনটি ঘটনা থেকে জনগণের বিপন্ন দশা অন্যদিকে ফেরাতে পারেন। তিনি চাইলেই প্রয়োজনীয় টিকাগুলোকে চাহিদামাফিক সরবরাহ করা যেতে পারে। অনেক দূর থেকে অভিভাবকরা শিশুদের নিয়ে আসেন। তারা যখন এসে শোনেন টিকা নেই। তখন তাদের প্রচণ্ড রকম রেগে যাওয়াটাই স্বভাবিক। আর রেগে গিয়ে তারা কোনো বিশৃঙ্খলা শুরু করে দিলে তার দায় অনেকাংশেই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর বর্তাবে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা শুনতে পাচ্ছেন? আপনি কি ভুলে গিয়েছেন ‘অনূর্ধ্ব–১ বছর বয়সী শিশুদের পূর্ণ টিকার প্রাপ্তির হার ২০০৯ থেক ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮৩ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল? তাছাড়া বিগত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ইপিআই দেশে পূর্ণ টিকাদান কভারেজ শতকরা ৮০ ভাগের বেশি বজায় রেখেছে। এর ফলে শিশুমৃত্যুর হারও বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছিল। এই অর্জন অনেকাংশেই এমডিজি–ফোর অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু আপনারা দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন করে এইরকম সফল একটি খাতেও যদি ব্যর্থতার সংবাদ শুনতে হয় সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
হ্যালো! আপনি কি জনতার কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছেন? আপনি কি জুলাই-আগস্টের সেই উদ্দীপ্ত শ্লোগানে কানে তালা লাগার অনুভূতিটা মনে করতে পারছেন? যদি মনে করতে পারেন তবে ভ্যাট মওকুফ করে ওষুধের দাম কমান। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার অনৈতিক সুযোগ এখনই বাতিল করুন। সেইসঙ্গে শিশুদের টিকার উপযুক্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে এখনই উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। যদি সেটা করতে না পারেন, সত্যিই আমার খুব ভয় হয়, অল্পদিনে আপনার সঙ্গেও জনতার দেখা হবে। তারাও কেউ কেউ চিৎকার দিয়ে বলবে, ‘ আইসো মাম্মা! খেলা হবে। আসো খেলবো!’ তারপর তাদের-আপনাদের দেখা হবে রাজপথে। কথা হবে শ্লোগানে। আমাদের হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, সেই মুহূর্ত আপনার কিংবা আমাদের কারো জীবনে না আসুক। সবাই সুস্থ থেকে কাজ করে যাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে।