সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশের একটা নোটিশের ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে। পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি নাসিয়ান ওয়াজেদের স্বাক্ষরিত নোটিশটিতে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এখনো শহীদদের তালিকা সম্পন্ন করা যায়নি। প্রচুর আহত মানুষ এখনো তীব্র যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে যে, অসুস্থতার চিকিৎসা করাতে বাচ্চা বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। এমতাবস্থায়, আন্দোলনের ক্রেডিট দাবি করে রাষ্ট্রীয় সুবিধা নেওয়া রীতিমতো আন্দোলনের স্পিরিটকেই বিনষ্ট করা।
বৈষম্যবিরোধীরা রাজনৈতিক দল খুলতে চাইতেই পারেন, আন্দোলনের স্পিরিটকে কাজে লাগিয়ে একটা শক্তি হয়ে উঠতে চাইতেই পারেন, সে অধিকার তাঁদের আছে। কিন্তু, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও সুবিধা কাজে লাগিয়ে তা করা কেবল অনৈতিক নয়, অন্যায়ও বটে। যেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে তাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন একদম তার বিপরীতটাই।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, এতদ্বারা বিএনপি এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, আপনাদের অধিনস্থ কোনো ইউনিটে সাংগঠনিক কাজের উদ্দেশে সফরকালে কোনো ধরনের মোটরসাইকেল বহর ও কারসহ অন্য কোনো যানবাহনে শোভাযাত্রা পরিহার করতে হবে। একটি দায়িত্বশীল, জনবান্ধব দল হিসেবে জনদুর্ভোগ কমাতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
অথচ সরকার ও মিডিয়ার কিছু আচরণে সন্দেহ হয়, কোনোভাবে বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে চাওয়াটাই যেন উদ্দেশ্য। নানারকম সুবিধা দিয়ে বৈষম্যবিরোধীদের নিয়ে একটা প্ল্যাটফর্ম করে তাঁদের রাজনৈতিক শক্তি বানানোর সময়টুকু দেওয়া যেন একটা বড় লক্ষ্য।
মানুষ অনেক ত্যাগ করে এখন স্বপ্ন দেখছে। আগের অভিজ্ঞতায় সে সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। আর তাই, স্বপ্ন বিসর্জনের বিন্দুমাত্র আশঙ্কা দেখলে সে প্রতিরোধ করবে বলেই আশা করা যায়।