কোটা বহির্ভূত জনৈক বিসিএস কর্মচারী
কোটা আন্দোলনের পূর্বাপর ও করণীয়
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম
পূর্বাপর
যেকোনো সরকারি চাকরিতে ১০০ জন কর্মচারী নিয়োগ হলে মাত্র ৪৩ জন হবে মেধায় আর ৫৭ জন হবে মেধাহীন কোটায়। এই নিয়ম চালু করে গিয়েছিলেন শেখ মুজিব। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব ‘নাই’ হয়ে যাওয়ার পর যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছেন তাঁদের মধ্যে একমাত্র শহীদ জিয়া, যিনি এই দুরবস্থা নিরসনে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের খুঁজে বের করে তাদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত-অনুপ্রাণিত করতেন। সময়াভাবে এই অবস্থার পরিবর্তন তিনি করতে না পারলেও অন্তত: ওই ৪৩ জন যেন সত্যিকারের মেধাবীরা অন্তর্ভুক্ত হয় সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছিলেন।
স্বৈরাচারী এরশাদকে দুর্নীতিগ্রস্ত-দুশ্চরিত্র ইত্যাদি বলে আখ্যায়িত করা গেলেও অন্তত: শহীদ জিয়ার মেধার প্রশ্নে তিনি নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তাহলে হয়তো আমাদের মতো গ্রাম বাংলার অতি সাধারণ ঘরের ক্ষমতাবান অভিভাবকহীন সন্তানেরা বিসিএসের কথা চিন্তাও করতে পারতাম না! যাহোক এর ধারাবাহিকতা মোটামুটি অব্যাহত থাকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত।
১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ‘ক্ষুধার্ত’ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-বিএএল সরকার। ক্ষমতাসীন হয়েই শুধু রাষ্ট্রীয় নিয়োগেই নয় সকল রাষ্ট্রীয় যন্ত্রসমূহে নিয়োগ ও পদায়ন শুরু করে দলীয় কর্মী অথবা কঠোর আওয়ামী সমর্থকদের। যথাযথ সম্মানের সাথেই বলছি– ঐতিহাসিকভাবেই এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, কিছু ব্যতিক্রম বাদে আওয়ামী সম্পৃক্ত লোকগুলো তুলনামূলক কম মেধাসম্পন্ন, লোভী ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির হয়ে থাকে।
এরা কোনো নীতি-নৈতিকতার ধার ধারে না, অতীত-ভবিষ্যৎ চিন্তা করে না, শুধু বর্তমান নিয়েই ব্যতিব্যস্ত থাকে। রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলোর অধঃপতন মূলত: তখন থেকেই শুরু। যদিও এই কু-কর্মে হতবাক হয়ে যাওয়া এ দেশের জনগণ এ অনাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র জেনুইন ভোটে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী যে সরকারটি গঠন করিয়েছিল, যে সরকারের সংসদকে একমাত্র মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করা ছাড়া আর সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী করেছিল– দুর্ভাগ্য জনগণের! সেই সরকার তাঁদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কোনো সংস্কার কর্ম না করে গতানুগতিকতাকেই বেছে নেয়!
ইসলামিস্ট বলে আমাকে ‘গালি’ দিতে পারেন। তবে আমি আমার সৃষ্টিকর্তার বার্তা-বাহকের নারী-নেতৃত্ব সম্পর্কিত কথার যথার্থতা ছাড়া আর কোনো কারণ এই উদাসীনতার পিছনে দেখি নাই। কেননা ওই সময় সরাসরি সরকারের প্রশাসনিক কর্মের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তদানীন্তন সরকার প্রধান, সেই অত্যাচারিত ভদ্রমহিলাকে খুব কাছে থেকেই দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল। তাঁর এমন উদাসীনতার পেছনে একমাত্র নারী হিসাবে কিছু সীমাবদ্ধতা ছাড়া আর অন্য কোনো আর্থিক-অনৈতিক দুর্বলতা বা উদ্দেশ্য আমার চোখে পড়ে নাই।
সেই উদাসীনতার ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে দেশ-বিদেশের মতলববাজরা নিয়ে এলো তথাকথিত ওয়ান-ইলেভেন। এটা বলা যায় নিকট অতীত। এর চাক্ষুষকারী বর্তমান এ দেশের আপামর জনগণ। তাই এই বিষয়ে আর লম্বা না করে মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি।
২০০৯ সালে প্রবল প্রতিপত্তিশালী দুই রাষ্ট্রের নগ্ন সহযোগিতায় বিএএল ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রথমেই শুরু করে সেই ৪৩% মেধাবী কর্মচারীদের গুরুত্বভেদে ছাঁটাই, ওএসডি অথবা নন-অপারেশনাল জায়গায় পোস্টিং দিয়ে ফেলে রাখার কাজ। পাশাপাশি কোটার পরিমাণ বৃদ্ধি না করলেও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ইস্যু করার পাশাপাশি চলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে দলীয় কর্মী ও অর্থ গ্রহণকৃত প্রার্থীদের মেধা কোটায় ঢোকানোর কারসাজি। এই দায়িত্ব দেয়া হয় এক সিএসপি এইচটি ইমামকে।
“কোনোমতে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করতে পারলেই হবে, ভাইভা আমি দেখব!” মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে চিরাচরিত ১০০ নম্বরের ভাইভাকে সে ২০০ নম্বরে উন্নীত করে। ব্যাপকভাবে কথিত– প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে শতকরা ৪০ নম্বর পেয়ে কোনোমতে লিখিত পরীক্ষায় পাসকারী আজকের কুখ্যাত ডিবি হারুনকে ভাইবায় ১৯৭ নম্বর প্রদান করা হয়েছিল! বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ধ্বংসের সূচনাকারী এই ইমামকে তার এত সাধের দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। কিন্তু সর্বনাশ করে গেছে এই জাতি পরিচালনাকারী সম্ভাব্য মেধাবী নবীনদের।
১৬ বছরের এই ধারাবাহিকতায় এখন সিভিল সার্ভিসে, ধারণা করি মিলিটারি সার্ভিসেও মেধাবী-কর্মচারী বলে স্বীকৃত কোনো কর্মচারী আর অপারেশনাল পোস্টে নেই! যারই ফল আজকে জীবন-জীবিকার অন্বেষণে থাকা নিরুপায়-নিরপরাধ ছাত্র-ছাত্রীদের শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় চাকরি পাওয়ার দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাওয়ার ‘অপরাধে’ এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকারে পরিণত হওয়া! ভাগ শুধু দুটো– পুলিশ, র্যাব, বিজিপি ও সেনাবাহিনী দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে দায়িত্বে থাকা সেই সকল ঊর্ধ্বতন নিষ্ঠুর-লোভী কর্মচারীরা। আর দলীয় ক্যাডার সন্ত্রাসীদের দিয়ে হত্যাকাণ্ড করাচ্ছে ওবায়দুল কাদেরদের মতো নেতারা। আর এর সবকিছু আইনি বৈধতা দিয়ে চলেছে দেশের আদালতগুলো পরিচালনাকারী সরকারি কর্মচারীরা। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না।
করণীয়–
গত ১৬ বছরে এ দেশের বিভিন্ন অত্যাচারের শিকার মানুষ যখনই তাঁদের ন্যায্য চাহিদার কথা জানাতে গেছে তখনই সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এতে প্রাণ গেছে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষের। প্রতিবারই বৃহৎ প্রতিবেশী একটি হিন্দুবাদী সরকারের নগ্ন সহায়তায় উতরে যেতে পেরেছে হাসিনা নেতৃত্বাধীন এই বিএএল সরকার। তবে সহায়তা বা ইন্ধন যেই দিক না কেন কাজগুলো কিন্তু সম্পন্ন করে এই দেশেরই সরকারি কর্মচারীরা। জনগণের তুলনায় অতি সংখ্যালঘু দলীয় সন্ত্রাসীরা যে সকল হতাহতের ঘটনা ঘটায় তাও সম্পন্ন হয় এই সরকারি কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ মদদেই। এই মিথ্যাবাদী প্রতারক সরকার জিডিপি বৃদ্ধি দেখানোর জন্য লোকসংখ্যা ১৮ কোটি বললেও বাস্তবে তা ২০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
এই ২০ কোটি মানুষের দুর্ভোগের জন্য দায়ী সর্বোচ্চ কমবেশি মাত্র ২০ শত সরকারি কর্মচারী। সুতরাং এদের এবং এদের নিকটাত্মীয়-স্বজনকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে যদি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তাহলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
আশার কথা হল এই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কিন্তু কোনোক্রমে বেআইনি বা অনৈতিক নয়। বরং আইনসম্মত। কীভাবে ? সেটাই অতি সংক্ষিপ্ত আকারে বলার চেষ্টা করছি। তবে যাদের উদ্দেশ্যে বলবো তারা কিন্তু ঠিকই জানে।
এই সকল সরকারি কর্মচারীদের একদল অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সরাসরি হতাহত, খুন-গুম, মিথ্যা মামলা দায়ের অতঃপর গ্রেফতারসহ বিভিন্ন হয়রানিমূলক অপরাধজনক কর্মে লিপ্ত হচ্ছে। অপরদল এসি-রুম, এসি-গাড়ির মধ্যে বসে মৌখিকভাবে এই অপরাধগুলো সম্পাদন করার জন্য হুকুম দিয়ে চলেছে। তদূর্ধ্ব দল যাদের ওপর এই সকল অনিয়ম-অপরাধে জড়িত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সবকিছু জানা সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে আছে– আইনের বর্ণনা ও ব্যাখ্যায় প্রত্যেকটি দলই সম-অপরাধী।
এই সকল অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু সেই রাষ্ট্র পরিচালনাকারী সরকারের নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগ যখন কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অপরাধীদের সহায়তা করে, তখন নিজের এবং অপর নাগরিকের জান, মাল ও সম্ভ্রম রক্ষার দায়িত্ব আইন দেশের নাগরিকদেরকেই দেয়। যাকেই বলে “আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার”। এখন নাগরিকদের সেই অধিকার প্রয়োগ ব্যতিরেকে এ থেকে উদ্ধারে তাঁদের আর কোনো উপায় নেই। এটি এখন দেশ-বিদেশ সকলের কাছেই সর্বস্বীকৃত হয়ে গেছে।
আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সেই “আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার” প্রয়োগকল্পে প্রাথমিকভাবে নিজ নিজ এলাকার ওই সকল কর্মচারী ও তাদের নিকটাত্মীয়-স্বজনদের ছবিসহ নাম-পরিচয় সংগ্রহ করে ভুক্তভোগী জনগণের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে আমাদের মেইল বক্সেও তা দিতে পারেন। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা তা ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রসারের ব্যবস্থা করব ইনশাআল্লাহ।
তবে আমাদের কাছে পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি না পাঠিয়ে বিদেশে অবস্থানরত আপনাদের কোনো সুহৃদকে দিবেন। অতঃপর সেখান থেকে তাঁরা আমাদেরকে পাঠাবেন। তাহলে আর বাংলাদেশের তথাকথিত গোয়েন্দা, এখন যাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে, এদেশের নিরীহ-নিরপরাধ জনগণ যাদের ট্যাক্সের পয়সায় তাদের বেতন-ভাতা-ফুটানি ইত্যাদি চলে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও অস্ত্র পেয়ে সেই জনগণের উপর অত্যাচার করা। আর অন্য সকল ক্ষেত্রে একান্ত অনুগত গাধার মতো আচরণ করা। তারা আপনাদের শনাক্ত করে নাজেহাল-নির্যাতন করতে পারবে না।
আজ ৯৫% দেশপ্রেমিকের এই দেশ মাত্র ৫% ইবলিশের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে! আমাদের বর্তমান অবস্থা এখন কোনো অংশেই প্যালেস্টাইন বা কাশ্মীরের চেয়ে ব্যতিক্রম নয়। বরং তার চেয়েও খারাপ। কেননা সেখানে প্রতিপক্ষ অন্য ধর্মাবলম্বীরা। কিন্তু আমাদের এখানে তথাকথিত স্বজাতিরা। আজ আমাদের বেকার যুবকেরা যখন নিতান্তই বেঁচে থাকার জন্য বাড়তি কোন সুবিধা নয়, শুধু “আমাদের মেধা, সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী কর্ম করে খাওয়ার বিষয়ে আমাদেরকে রাষ্ট্রীয় শক্তি দ্বারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করো না!” রাস্তায় দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে এই আর্তনাদ করছে, তখন একই জাতি-ধর্ম-বর্ণ বলে দাবিকারী সেই ৫% প্রতারক ঐ ২০শত জনের সহায়তায় এদেরকে শুধু স্থলেই নয়, আকাশে হেলিকপ্টার থেকেও পাখির মত গুলি করে তাদেরকে হতাহত করছে!
প্রার্থনা করি– হে আল্লাহ! ও’রা কোন মতে খেয়ে পড়ে বাঁচার মানসে দাঁড়িয়ে ছিল। তুমি ও’দেরকে তোমার আরো কাছে নিয়ে গেছো! ও’দেরকে তুমি চিরশান্তি ও সুখে রেখো মাবুদ।
সুতরাং আমরা ৯৫% যদি এখনও ঘুরে না দাঁড়াই তাহলে নির্ঘাত ১৭৫৭ সালের সেই অবস্থায় ফিরে যাব। যে ঘটনার কথা লর্ড ক্লাইভ তার নিজ জীবনীতে লিখেছিলেন এভাবে– আমরা যখন সরকারি রাজকোষসহ নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে নৌকাযোগে ভাগীরথী নদী দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম তখন যে পরিমাণ এদেশীয়রা নদীর দুই ধারে দাঁড়িয়ে সে দৃশ্য দেখছিল, তারা যদি প্রত্যেকে একটি করে ঢিলও ছুড়তো তাহলে আমাদের সকলেরই সেখানে সলীল সমাধি ঘটতো। কেননা আমার বেশিরভাগ সৈন্য-সামন্ত সাঁতার জানতো না!
আমরা যেন সেই ভাগীরথীর জনগণে পরিণত না হই। মনে রাখতে হবে, অপরাধীরা সব সময় দুর্বল ও ভীত হয়। একবার শুধু যার যা সামর্থ্য আছে যেমন– ময়দানের সম্মুখ সমর, লেখনি, বুদ্ধি, অর্থ, যোগাযোগ ইত্যাদি তাই-ই নিয়ে এগিয়ে আসুন। তবে আমরা আপনাদের কখনোই এই আহ্বান জানাবো না যে, প্রতিপক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আপনাদের বেআইনিভাবে হত্যা করতে আসবে আর আপনারা বুক চিতিয়ে সেই বুলেটগুলো হজম করবেন। নাহ! সেটা আইন এবং ইসলাম কোনোটাই তা বলে না। বরং উভয়ই বলে, আপনার নিজ শক্তি দিয়ে তা প্রতিরোধ-প্রতিহত করে পাল্টা আইনানুগ আঘাত হানবেন। সেই আঘাত হানার আইনি পদ্ধতি ও কৌশল দুটোই আপনাদেরকে ইস্যু ভিত্তিক জানিয়েছেন দেবার চেষ্টা আমরা করে যাবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সহায়।