Logo
Logo
×

অভিমত

তহবিল চুরি থেকে ঋণ চুরি : দুর্নীতি ২.০-তে উত্তরণ

Icon

মিকাইল হোসেন

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:১৭ এএম

তহবিল চুরি থেকে ঋণ চুরি : দুর্নীতি ২.০-তে উত্তরণ

প্রতীকি ছবি

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের অরাজকতা, রাজস্ব বিভাগের সীমাহীন দুর্নীতির ঘটনাগুলো মূলত বাংলাদেশের দুর্নীতি যে ভার্সন 2.0 তে প্রবেশ করছে, এইটাকেই নির্দেশ করে। ব্যাপারটাকে বিশ্লেষণ করে দেখা যাক। 

মার্কিন নৃতত্ত্ববিদ ডেভিড গ্রেবার তার Debt বইতে দেখিয়েছেন যে, সাধারণ সমাজের জন মানুষের যে অর্থনীতি, সেটা সমাজের বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া আর একজনের সাথে আরেকজনের ঋণের সম্পর্কের মাধ্যমেই খুবই সরল আকারে চলতো। যেহেতু ছোট আকারের সমাজে সবাই একে অন্যকে চিনে, তাই একে অন্যকে নিজের উৎপাদিত পণ্য বা সেবা ধার হিসাবে দিতো, এবং পরবর্তীতে পণ্যগ্রহীতা আবার অন্য কোনো এক প্রকারের পণ্য বা সেবার মাধ্যমে সে ধার শোধ করতো। কয়েক দশক আগেও চালের ধারের বিনিময়ে কামার বা কুমারের কাছ থেকে লোহার বা মাটির তৈজসপত্র বিনিময়ের ক্ষেত্রে এইরকম ধারের মাধ্যমে দ্রব্য আর পণ্যের সেবার প্রচলন ছিল আমাদের সমাজে, এবং সরল ধার বিনিময় প্রথাই আদিকালে সমাজের প্রধান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ছিল। এই ধরনের সহজ সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সরাসরি মুদ্রার লেনদেনের প্রয়োজন হতো কম।  

কিন্তু সমাজ সভ্যতার অক্ষীয় যুগে, গ্রিস, চীন, ভারতে যখন বড় বড় কেন্দ্রীভূত সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হলো তাদের বিশাল আকৃতির স্ট্যান্ডিং আর্মিকে টিকিয়ে রাখার জন্য আর প্রান্তি পর্যায়ের প্রজাদের শ্রম শোষণ করে তাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার তারা বিভিন্ন জাতীয় আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মুদ্রার প্রচলন করে। 

এই মুদ্রার মাধ্যমে প্রজাদেরকে নিয়ন্ত্রণের উপায় ছিল এরকম যে-রাজারা তাদের নিজস্ব সিলমোহর দেওয়া মুদ্রা দিয়ে তারা সৈন্য আর রাজকর্মচারীদের বেতন দিতো, মানে শুধুমাত্র সৈন্য আর রাজকর্মচারীদের হাতেই এই মুদ্রাটা থাকতো। আর প্রজাদের ওপর চাপ দেওয়া হতো যে এই সিলমোহরের মুদ্রাগুলো দিয়েই যাতে তারা জমির খাজনা পরিশোধ করে, ফলে জনগণকে মুদ্রার মালিক সৈন্য আর রাজকর্মচারীদের কাছে নিজেদের শস্য আর সেবা বিক্রি করে মুদ্রাটা আদায় করতো। এখন এইভাবে যে রাজকীয় শোষণ নীতি তৈরি হয়েছিল তার খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিল এই রাজস্ব আদায়। রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য স্ট্যান্ডিং আর্মির মতনই রাজস্ব আদায়ের সিস্টেমও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রাজস্ব আদায়ের সিস্টেমই বলা চলে শোষণের ইকোনমির ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করে।

আপনি যদি রাজস্ব আদায়ের ইতিহাস দেখেন, পৃথিবীর সবচেয়ে এস্টাব্লিশড জনবিরোধী স্বৈরতন্ত্রও তাদের জনগণ থেকে টাকা আদায়ের ব্যাপারে সিরিয়াস, আর ওজারতি বা সরকারের খাজাঞ্চির দায়িত্বে যে থাকতো তার ওপর নানারকমের নজরদারি আর জবাবদিহিতার ব্যবস্থা থাকতো। রেভিনিউর সার্ভে আর হিসাবগুলাও হইতো খুব স্পেসিফিক আর এক্সটেন্সিভ। এর চমৎকার একটা উদাহরণ হচ্ছে ইংল্যান্ডের দখল নেওয়ার পর তখনকার ইংল্যান্ডের মনার্ক উইলিয়াম দা কনকুয়েরর এর আমলের একটা বই যাকে বলা হয়েছিল Book of Winchester। এই বইতে তৎকালীন ইংল্যান্ড আর ওয়েলেসের কিছু অংশের প্রতিটা জেলার প্রতিটা ঘরের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। গ্রামে গ্রামে এলাকায় এলাকায় সার্ভেয়াররা গিয়ে কোন জমিদারের কত একর জমি আছে, কি পরিমাণ ফসল ফলে সেখানে, থেকে শুরু করে সাধারণ গৃহস্থ পরিবারেও কি পরিমাণ সম্পদ আছে, গবাদি পশু আছে সেই হিসাব লিপিবদ্ধ ছিল এই বইতে। এবং এই বইয়ের রেকর্ড অনুসারেই তৎকালীন রাজার খাজনা নির্ধারিত হতো, এবং এই বইয়ের ইম্প্যাক্ট কৃষকদের মধ্যে এতো ভয়ংকর ছিল যে তারা এটাকে বলতো The Domesday book বা কেয়ামতের বই। কেয়ামতের পর সেন্ট পিটার যেমন সবার হিসাব কিতাব খুলে জান্নাত জাহান্নামের হিসাব নিতে বসবে, জনগণেরও সবার ইহকালীন আমলনামা, আর জমি জমার হিসাব কিতাব ওইরকমই ভয়ানকভাবে এই বইতে সংকলিত ছিল। এতে নিখুঁত ছিল তাদের ট্যাক্স কালেকশন। 

এই জনগণ থেকে শোষণের পদ্ধতি হিসাবে রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়ার সমালোচনা শুরু হয় ইউরোপের এনলাইটেনমেন্টের আমল থেকেই, যা কিনা ইউরোপের ফরাসি বিপ্লব, ইউরোপিয়ান বসন্ত থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্দোলনে আলোচিত হয়ে আসছে। আর ইংল্যান্ডের রাজতন্ত্র থেকে আমেরিকার বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিপ্লবের শ্লোগানই ছিল No taxation without representation, যারা আমার কাছ থেকে ভোট নেয় না, আমাদেরকে যারা প্রতিনিধিত্ব করে না, তাদের কোন অধিকারই নাই আমাদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করার। এটাই মূল কথা। এখন আমেরিকার ট্যাক্স আদায়কারী প্রতিষ্ঠান IRS আর তাদের ট্যাক্সের আইন আমেরিকার ধনীদেরকেও নানান সময়ে নাকানি চুবানি খাওয়ায়। আমেরিকার বিখ্যাত গ্যাংস্টার আল কাপোন থেকে শুরু করে মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তাদের ট্যাক্স আইনের কারণে চাপে পড়ে গিয়েছিলো বিভিন্ন সময়ে।    

কিন্তু ইন্টেরেস্টিংলি দেখেন ঐতিহাসিকভাবে কলোনিয়াল অতীতের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশে শোষণতান্ত্রিক ইকোনমি ফুল গিয়ারে চলছে। কিন্তু রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে তাদের অনীহা। বিশাল পারসেন্টেজের একটা রাজস্ব ঐতিহাসিকভাবেই অনাদায়ি থেকে যায়, তারা লুটপাটের জন্যও যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ জনগণ থেকে বের করতে পারে না। এবং এটাই বেসিক্যালি কঠিন স্বৈরাচারী সিস্টেমের সাথে বাংলাদেশের হাইব্রিড দুর্বল রিজিমের পার্থক্য। এখানে স্টেট ক্যাপাবিলিটি এতোই দুর্বল যে রাষ্ট্রের তহবিল থেকে যে লুটপাট চালানোর পূর্বশর্ত রাষ্ট্রের তহবিল পূরণ করা সেটা করারই তাদের ক্ষমতা নাই। 

দুর্নীতি বাংলাদেশের আজীবন সঙ্গী, এইটা নিয়ে আলাদা পিরিয়ড দেখানোর মানে নাই। সরকারি কেনাকাটায়, ব্রিজ বিল্ডিং বানানোতে দুর্নীতি, বা ভ্যাট ট্যাক্স টাকা খেয়ে কম দেখানো ঐতিহাসিকভাবেই এই দেশে হয়ে আসতেছে। কিন্তু এইসব সেক্টরে দুর্নীতি যেমনই চলুক বা যারাই চালাক বাংলাদেশ ব্যাংক বা এনবিআরে অন্তত কিছুটা শৃঙ্খলাপূর্ণ মানুষদের যেমন- মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সালেহউদ্দিন আহমেদ, ফখরুদ্দিন আহমেদ, সা'দত হুসাইন, বদিউর রহমান যাতায়াত ছিল। বাংলাদেশে সঠিক তথ্য পাওয়া খুবই কঠিন, ক্ষেত্রবিশেষে অসম্ভব। কিন্তু ইন্টার্নাল ফিন্যান্স সেক্টরে, মানে ব্যাংকিং আর রাজস্ব সংগ্রহের গত ১৫ বছরের তথ্য যদি সংগ্রহ করা যায়, তবে ধারণা করা অযৌক্তিক হবে না যে এই সেক্টরে যে পরিমাণ দুর্নীতির প্রবৃদ্ধি হইছে তা সরকারেরই অন্য যেকোনো সেক্টরে দুর্নীতির প্রবৃদ্ধির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাবে গরমিল দেখায়া দেওয়া, ব্যাংকের টাকাই কলমের খোঁচায় গায়েব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা বানায়া ভরে দেওয়া, এর পাশাপাশি ভ্যাট ট্যাক্সের বিশাল অংশ আদায় থেকে বাদ দিয়ে নিজের পকেট ভরে ফেলা এইগুলা কোয়ান্টিটেটিভলি বা মাত্রিকভাবে এতো ব্যাপক মাত্রার দুর্নীতি যে এইটা বাংলাদেশের দুর্নীতির কোয়ালিটিটিভ বা গুণগতই পরিবর্তনেরই বহি:প্রকাশ।

এই গুণগত পরিবর্তন কারণ আমার মতে, বর্তমানের বাংলাদেশের সরকারের পরিচালনাকারীরা বা মূল পলিসিমেকাররা বাংলাদেশের নাগরিকদের বর্তমান ইকোনমিক অ্যাক্টভিটির ওপর নির্ভরশীল না। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ যে অর্থনৈতিক কার্যক্রম চলছে সেটা থেকে ভ্যাট ট্যাক্স আদায় করে তারা সেখান থেকে লুটপাট করবে এই খায়েশিয়াত তাদের নাই।

এর বদলে তারা যা করছে তা হলো বাংলাদেশের জনগণের নামে ঋণ দেখিয়ে বিদেশি ঋণ আদায় করে সেটার টাকা মেরে দিচ্ছে। তাদের মূল দরকার বা প্রয়োজন হচ্ছে বিদেশি ঋণের সরবরাহ। আর এটাই হচ্ছে তহবিল চুরি থেকে ঋণ চুরিঃ দুর্নীতি 2.0 তে উত্তরণ। 

এই দুর্নীতির স্টেমটাকে বলা যেতে পারে- Futures corruption, অনেকটা আমেরিকার স্টক এক্সচেঞ্জের Futures market এর মত। আমেরিকায় স্টক প্রাইসের মার্কেটে অনেক ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের একটা প্রডাক্টের দাম নির্ধারণ করে ওইটার ওপর স্টকের মূল্য হাঁকা যায়। মানে এক কথায় আপনি একটা প্রডাক্টের ভবিষ্যৎ স্থিতি কিনতেছেন। ওই স্টকটা ভবিষ্যতে কি দামে বিক্রি হবে সেটা এখনই প্রেডিক্ট করে এখনই কেনা বেচা করতেছেন। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের বর্তমানের পলিসি মেকাররাও আপনি আমি এখন যে শ্রম দিচ্ছি সেটা লুট করছে না, আপনি আমি ভবিষ্যতে কি পরিমাণ শ্রম দিতে পারবো তার ওপর বিডিং করে ঋণ নিয়ে সেটা থেকে প্রকল্প সাজিয়ে টাকা মেরে দিচ্ছে। আর ওই সব ঋণের প্রকল্পের সুদ দিতে গিয়ে সরকারের বাজেট বরাদ্দের বিশাল অংশ ব্যয়িত হয়ে যাচ্ছে। এবং এই ব্যয়ভার পরোক্ষভাবে এসে পড়ছে টাকার মান অবমূল্যায়ন, বেতন ভাতার অবমূল্যায়ন আর দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মাধ্যমে। এই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে নিজেদের জীবনযাত্রার মান ধরে রাখতে পরিশ্রম করতে করতে আমরা শেষ হয়ে যাচ্ছি। 

এখন যেহেতু এই ঋণের টাকা চুরির সিস্টেম মূলত ভবিষ্যৎ মুখী, আর বর্তমানের ইকোনমিক অ্যাক্টিভিটির সাথে দুর্নীতির সিস্টেম বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তাই ব্যাংক বা রাজস্ব হায়েনাদের হাতে ছেড়ে দিয়ে পুরা ইন্টার্নাল ইকোনমির বারোটা বাজায় ফেলতেও পলিসি মেকারদের কোন ভয় নাই, দেশের ইকোনমিক অর্ডার নিয়েও তাদের কোন মাথাব্যথা নাই, কারণ এইটা তাদের প্রিন্সিপাল মোড অফ এক্সপ্লয়েটেশন না। তাদের চিন্তাটা শুধু হইলো আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংক লোনের কিস্তি দিবে কিনা, কিস্তি দেওয়ার মত অবস্থায় দেশ থাকবে কিনা, সেটাই। অর্থমন্ত্রী যেমন কয়েকদিন আগেই বললো, "বিশ্বব্যাংকের কথা শুনতে হবে কারণ ওরা টাকা দেয়"। বিশ্বব্যাংক টাকা দেয় আর আমরা জনগণরা তাদের দেই তেজপাতা, কাঁঠালপাতা, তাই আমাদের কথা তাদের শোনার দরকার নাই।

এখন একটা যুক্তি দিতে পারেন যে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণের চেয়ে বাংলাদেশের ইকোনমি তো বিশাল বড়, রেমিট্যান্স ওয়ার্কাররা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিদেশ থেকে নিয়ে আসছে, রপ্তানি আয়ও অনেক হচ্ছে, তাহলে তারা ইন্টার্নাল ইকোনমি ডুবায়া টাকা বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরশীল হবে কেন? বরং ইন্টার্নাল ইকোনমিকে আরো সুন্দরভাবে ম্যানেজ করে ওখান থেকে ভ্যাট ট্যাক্সের টাকা আদায় করে মৌজ মৌতাত করুক।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে দেশের ইন্টার্নাল ইকোনমিকে যদি আপনাকে একটা এস্টাব্লিশ করতে হয় আপনাকে দেশে একটা মিনিমাম ল অ্যান্ড অর্ডার তৈরি করতে হবে। বিনা-ভোটের, লেজিটেমিসির প্রবলেমে থাকা সরকারের পক্ষে এই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় না। এছাড়া ঋণের যে টাকা আসে সেটা থোক বরাদ্দের মত আসে, আকাশ থেকে। অন্যদিকে সঠিক নিয়মে ব্যাংক চালাতে হলে, বা তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজস্ব আদায় করতে গেলে নানারকমের হিসাব, নানারকমের প্রেশার ম্যানেজ করা লাগে। এই হিসাবে আকাশ থেকে আসা বিদেশি ঋণ গায়েব করা তুলনামূলক সহজ একটা কাজ। ঠিক এই কারণেই দেখবেন বিভিন্ন সরকারি কর্পোরেশনগুলার প্রকৃত আয় যতই হোক, তারা নিজেদেরকে "লোকসানি" প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখাতে উদগ্রীব, কারণ তারা যতদিন লোকসানি থাকবে ততদিন সরকার তাদেরকে বরাদ্দ দিবে আর ওই আকাশ থেকে আসা বরাদ্দের থোক বরাদ্দের টাকা নিজেদের অর্জিত টাকা মারার চেয়ে সহজ।

এখন এই ভ্যাট ট্যাক্স দুর্নীতির সিস্টেম থেকে আপনার নাম নিয়ে ঋণ নিয়ে দুর্নীতি করার যে মেকানিজম এইটা হাজার গুণ বেশি নির্মম আর বিস্তৃত। আপনার কাছ থেকে ১০০ টাকা ট্যাক্স আদায় করে নিয়ে সেখান থেকে টাকা মারলে সর্বোচ্চ ৯০ টাকা মারতে পারবে, ১০ টাকা তাকে রেখেই দিতে হবে বিভিন্ন কাজের জন্য। কিন্তু আপনার নামে ঋণ নিয়ে লুট করতে গেলে ১ লাখ টাকা ঋণ নিতেও তার সমস্যা নাই, কারণ আল্টিমেটলি তো আপনি এটা পরে গিয়ে শোধ করবেন, আপনার নামে কত টাকা ঋণ আছে বুঝতে বুঝতেই সামনের জন গায়েব হয়ে যাবে দুবাই কিংবা কানাডায়। আর সেই ঋণের বোঝা টানতে টানতে আপনার জীবনীশক্তি হয়ে যাবে নিঃশেষ। 

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন