Logo
Logo
×

অভিমত

সত্যিই কি আনার খুন হয়েছেন?

Icon

রায়হান সরকার

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৪, ০১:০৭ এএম

সত্যিই কি আনার খুন হয়েছেন?

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ভারতে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল কলকাতার যে ভবনে আনার খুন হন বলে অভিযোগ, তার সেপটিক ট্যাংক থেকে চার কেজি মাংস উদ্ধারের কথা বলছেন। এরপর সেই একই দল এখন আবার নেপাল গেছেন। নেপাল যাওয়া আগে অবশ্য নেপালে আনার হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন একজনকে আটকের কথা জানানো হয়। 

আনার তিনবারের সংসদ সদস্য এবং কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ১১ মে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। প্রথমে কলকাতার বরাহনগরে তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন।

এরপর স্থানীয় থানায় জিডি করেন গোপাল। তদন্ত শুরু হয় দুই দেশে। ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, নিউ টাউনের এক বাড়িতে খুন হয়েছেন এমপি আনার। এর পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতের পুলিশের বরাত দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওই সময় বলা এই হত্যায় সন্দেহভাজন হিসেবে দুইজনকে আটক করেছে কলকাতা পুলিশ। যদিও পরে এই দুইজনের ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে আর তেমন কিছু জানা যায়নি।

এদিকে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের দেওয়া তথ্যে বাংলাদেশে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডেও নেওয়া হয়। ওই তিনজন হলেন- আমানুল্লা সাঈদ ওরফে শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া (৫৬), তানভীর ভুঁইয়া (৩০) ও শিলাস্তি রহমান (২২)।

পুলিশ বলছে, এমপি আনার হত্যার ‘হোতা’ তার বাল্যবন্ধু ও ঝিনাইদহের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আখতারুজ্জামান ওরফে শাহিন মিয়া। আর হত্যাকাণ্ডটি বাস্তবায়ন করেছেন চরমপন্থি নেতা আমানুল্লা ওরফে শিমুল। নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) শীর্ষস্থানীয় নেতা শিমুলের নিজ দলের কার্যক্রম নিয়ে এমপি আনারের সঙ্গে আদর্শের বিরোধ ছিল। আনার কলকাতায় যাওয়ার পরদিন বৈঠক করতে শাহীনের ভাড়া বাসায় যান। সেখানেই আসামিরা তাকে হত্যা করে।

গ্রেপ্তার তিনজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ গত ২৪ মে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আনারকে হত্যার পর শরীরের বিভিন্ন অংশ টুকরো করে হলুদ লাগিয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই লাশ উদ্ধার করা কঠিন।

তদন্তের এক পর্যায়ে জিহাদ হাওলাদার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। তিনি পেশায় কসাই বলে উল্লেখ করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাকে নিয়ে কয়েকটি খাল, জঙ্গলে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েও আনারের লাশের হদিস মেলাতে পারেনি কলকাতা পুলিশ। ২৪ বছর বয়সী জিহাদ খুলনার বাসিন্দা। অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলে‌ন তিনি। আনারকে ‘খুনে’র প্রায় দুই মাস আগে অভিযুক্তরা জিহাদকে মুম্বাই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসেন।

জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে জিহাদ বলেছেন, আখতারুজ্জামানের নির্দেশেই তিনি ‘সব কাজ’ করেছেন। আরও চার জন বাংলাদেশি এই কাজে সাহায্য করেছেন।

ভারতীয় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাংলাদেশে এসে ২৪ মে ঢাকায় গ্রেপ্তার তিনজনকের জিজ্ঞাসাবাদ করে যান। এরপর ২৫ মে কলকাতায় যান হারুন অর রশীদসহ ডিবির তিন কর্মকর্তা। তারাও কসাই জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং তাকে নিয়ে সঞ্জিভা গার্ডেনসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সংবাদমাধ্যমে অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে আনার ও শাহিনের দ্বন্দ্বের কারণ ‘স্বর্ণ চোরাচালান’ বলা হলেও এ বিষয়ে মুখ খুলছে না পুলিশ। আবার কীসের ব্যবসা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, তা নিয়েও কোনো ধারণা দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও খুন হওয়ার আগে পরে ‘কী কী ঘটেছে’ তার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

কলকাতায় ওই হত্যাকাণ্ডের মাস খানেক আগেই ঢাকার গুলশান ও বসুন্ধরার বাসায় বসে খুনের ছক আঁটা হয় বলে ডিবির হারুনের ভাষ্য। তবে দুই দেশের পুলিশ এখনও শাহিনের নাগাল পায়নি। তিনি কাঠমান্ডু থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন বলে পুলিশের ধারণা।

সব মিলিয়ে বলা যায়, আনার হত্যার ঘটনা এখনো রহস্যেই ঘেরা। কলকাতার যে অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ‘খুন হয়েছেন’ বলা হচ্ছে, তার সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। 

অন্যদিকে, এমপি ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন, ১৪ মে থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার পর ২৮ মে কথিত মাংস উদ্ধার পর্যন্ত বেশ কিছু প্রশ্ন সাধারণের মনে উঁকি দিচ্ছে। এমপি আনারের নিজ এলাকার সাধারণ মানুষ, দলীয় নেতাকর্মীরাও এসব প্রশ্নের উত্তর চান। সেই পরিপ্রেক্ষিতে (১ জুন) তারা সংবাদ সম্মেলন করে কিছু প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন। 

কালীগঞ্জ শহরের ভূষণ স্কুল মাঠে আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠাণ্ডু। তিনি বেশকিছু উত্থাপন করেন।  

১. এমপি আনারের ব্যবহৃত পাসপোর্ট, ঘড়ি, আংটি চশমাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র এমনকি কথিত রক্তমাখা জামাপ্যান্ট ও ব্যাল্ট কোথায় গেল?

 ২. এমপির ব্যবহৃত দুটো মোবাইলফোনের সর্বশেষ যেখানে অবস্থান দেখিয়েছিল, তার কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি কেন?

 ৩. এমপি আনারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্নরকম বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, এমনকি বেশকিছু সোশ্যাল মিডিয়াতেও উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে বিভিন্ন পোস্ট করা হচ্ছে।  

 ৪. খুনি জিহাদ মুম্বাইতে কসাইয়ের কাজ করতো বলে গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। তবে মুম্বাইয়ের কোথায় সে কসাইয়ের কাজ করতো, সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি কেউ।

 ৫. হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। অথচ যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা।  

 ৬. কথিত মাংসপিণ্ড উদ্ধার হলেও, হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনো কেন উদ্ধার হয়নি?

 ৭. একজন নির্বাচিত এমপি খুন হলেন বিদেশি গিয়ে, খুন হওয়ার পর তার পরিবারের কেউ ভিসা পাচ্ছেন না কেন?

 ৮. ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা ছাড়া এমপি আনারের বিরুদ্ধে গত ১৭ বছরে কোনো মামলা ছিল না। অথচ তার বিরুদ্ধে সোনা চোরাকারবারি, হুন্ডি ব্যবসায়ী নানা ধরনের বিশেষণ ব্যবহারে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে কেন?

 ৯. শুধু তাই নয় বেশ কিছু ফেসবুক আইডি এবং পেজ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের সমর্থন করে প্রচার প্রকার করা হচ্ছে প্রশাসন এদিকে কেন নজর দিচ্ছে না?

 ১০. এছাড়া যে সেপটিক ট্যাংকি থেকে সাড়ে চার কেজি মাংস উদ্ধার করা হলো, যদি ১৩ মে এমপি আনার খুন হয়েই থাকেন তবে সেই মাংসগুলো সেপটিক ট্যাংকের নোংরা-ময়লার মধ্যে মিশে যাওয়ার কথা সেগুলো একসঙ্গে কী করে উদ্ধার হল?

এ ছাড়াও যেসব প্রশ্নের এখনো সমাধান হয়নি। অথচ ১৪ মে নিখোঁজের পর ২২ মে প্রথমে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে তার মরদেহ উদ্ধারের কথা বলা হয়। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোও ফলাও করে প্রথমে প্রচার করে তার মরদেহ উদ্ধারের খবর। পরে অবশ্যই বলা হয়, খণ্ডিত মরদেহ। এরপর বলা হয় রক্তমাখা জামা-কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। আবার এমন সংবাদও পুলিশের বরাতে দেওয়া হয়েছে তাকে খুন করে তারই জামা-কাপড় পরে এক খুনি ওই সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে বেরিয়ে গেছেন। সবমিলিয়ে দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও ঘন ঘন বক্তব্যের ফাঁক-ফোকরেই কিছু প্রশ্ন মনে আসে।

প্রকাশিত সংবাদগুলোর প্রায় প্রতিটিতেই বলা হয়েছে চিকিৎসার জন্য আনার ভারতে গিয়েছিলেন। পরিবারও তাই বলছে। সংবাদমাধ্যমের নিউজে বলা হয়েছে কানের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। ভারতের বন্ধু, যারা বাড়িতে উঠেছিলেন সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস বলছেন, তিনি স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাতে চেয়েছিলেন। 

এখনও যে প্রশ্নগু‌লো মাথায় ঘুর‌ছে-

১. প্রকৃতপক্ষে আনার ভারত কেন গিয়েছিলেন, চিকিৎসা, ব্যবসা নাকি অন্য কোনো কারণে?

২. দর্শনা গেট দিয়ে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে যান আনার। সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে। ভিডিওটি কে করেছিল এবং কে আপলোড দিয়েছে?

৩. একজন সংসদ সদস্য হিসেবে এমপি আনার লাল পাসপোর্ট নিয়ে ভারত যাবার পরও তাকে কেন যথাযথ নিরাপত্তা দেয়নি সরকার?

৪. আনার তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপালের বাসা থেকে বের হবার পর যে লাল গাড়িতে উঠেছিলেন, সেই গাড়িতে কে কে ছিলেন? গাড়িটির চালক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন একজন বাংলাদেশি ছিলেন। সেই বাংলাদেশি কে তার কি কোনো হদিস পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা?

৫. গোপালকে দিল্লি যাচ্ছি মেসেজ দেবার পরও কেন গোপাল জিডি করলেন?

৬. সাংবাদিকদের কাছে প্রথমে পুলিশ লাশ পাবার কথা জানানোর পর কেন অস্বীকার করল?

৭. ভারতে আনার খুন হয়েছে খবর পাওয়ার পর পরই কীভাবে ডিবি হত্যাকাণ্ডের সব কিছু জেনে ফেলল?

৮. ডরিন শুরু থেকেই ভারতে যাওয়ার কথা বললেও কেন যাননি? ১৮ মে তাদের ভারত যাওয়ার কথা ছিল।

৯. যাদের খুনি হিসেবে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করা হচ্ছে, তারা কি আসলেই জড়িত? তাদের এবং তাদের পরিবারের বক্তব্য আসছে না কেন?

১০. নিজের নামে চুক্তিপত্র করে অভিজাত এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটাবে? যেখানে সবার আনাগোনার সিসিটিভি ফুটেজ থাকে, নিরাপত্তরক্ষীও থাকে সব সময়?

১১. শাহিন বলেন, আপনাদেরও তো সেন্স থাকা উচিত, আমি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এই কাজ করবো? কেউ করবে? 

১২. শিলাস্তি রহমানকে সবাই শাহিনের বান্ধবী হিসেবে জানে, তাকে দিয়ে শাহিনেরই ভাড়া করা বাসায়, আনারকে ফাঁদে ফেলা কতটা বিশ্বাসযোগ্য? বলা হচ্ছে, শাহিনের সঙ্গে আনারের বিরোধ ছিল, তাহলে জানা শত্রুর বাসায় কাউকে না জানিয়ে একা যাবেন আনারের মতো ঝানু লোক তা কি বিশ্বাসযোগ্য?

১৩. প্রথম দিকে কীভাবে খবর বের হলো যে মদের আসরে আনাররের মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়?

১৪. যে কথিত কসাই জিহাদ কেটে কেটে টুকরা করেছে, তাকে নিয়ে এত ডুবুরির এত তল্লাশির পরেও কেন একটি টুকরোও পাওয়া গেল না? যেখানে অভিজ্ঞ ডুবুরিরা বলছেন, তারা সুঁইও খুঁজে আনতে পারেন! আবার কয়েক দিন তল্লাশির পর কীভাবে সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংকে টুকরো মাংসের খোঁজ পাওয়া গেল? জিহাদ টুকরো করলে তো ঘরেই করেছিল, তাহলে খালে কেন খোঁজাখুঁজি করা হলো?

১৫. দুজন ড্রাইভারের কাউকেই কেন ওই অর্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, বরং শুরু থেকে পুলিশ বলছে তারা নির্দোষ?

১৬. শুরুতে যে কলকাতা পুলিশ যে দুজনকে আটকের কথা জানিয়েছিল, সেই দুজন এখন কোথায়, তাদেরকে কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, নাকি আদতে কাউকে আটকই করা হয়নি?

১৭. কেন নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? গোপালকেও কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? শাহিনের সঙ্গে স্বর্ণ ব্যবসা নিয়ে ধন্দের কথা বলা হচ্ছে। গোপালও তো স্বর্ণ ব্যবসায়ী, আবার তার বাড়িতেই গিয়ে উঠেছিল। কিন্তু যেদিন আনার ডাক্তার দেখাবেন বলে বের হন সেদিনই কেন গোপাল নিজের গাড়িটি দিতে পারবে না বলে জানিয়ে আনারকে গাড়ির ব্যবস্থা করতে বলেন?

১৮. এখনও তার লাশ মেলেনি। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি, তবু কেন বলা হচ্ছে, তিনি খুন হয়েছেন? আসলেই কি তিনি খুন হয়েছেন? খুন যদি হয়েও থাকেন, তাহলে যেভাবে বর্ণনা পাওয়া যাচ্ছে তাতে কি আটক করা ব্যক্তিরা জড়িত বলে কোনোভাবে সন্দেহ হয়? নাকি দুই দেশের পুলিশ ও মিডিয়ার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়?

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন