মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে বিজেপির দাবি বিভ্রান্তিকর
ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক
উপদেষ্টা পরিষদ একটি গবেষণা করেছে, যা দেশটির বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ মে)
প্রকাশ করেছে।
তারা বলছে, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ১৬৭টি দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনসংখ্যা বেড়েছে। বেশির ভাগ প্রকাশনার বিষয় ছিল, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ১৯৫০ সালে যেখানে ছিল মোট জনসংখ্যার ৯.৮৪ শতাংশ, ২০১৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৪.০৯ শতাংশ। অন্যদিকে ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা এই সময়ের মধ্যে ৮৪.৬৮ শতাংশ থেকে কমে ৭৮.০৬ শতাংশ হয়েছে।
বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি
সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেছেন, 'দশকের পরে দশক ধরে কংগ্রেসের শাসনের ফলেই এটা হয়েছে।
কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় এলে দেশে আর কোনো হিন্দু থাকবে না।' বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের তরফে
এখনও কোনো মন্তব্য আসেনি।
ইউনিয়নমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, ‘একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ভারতের জনসংখ্যার পরিবর্তন হচ্ছে। অথচ কংগ্রেস তাদের জন্য শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ করতে চেয়েছিল!’
চন্দ্রশেখরের প্রথম দাবিটি বিভ্রান্তিকর এবং দ্বিতীয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যা বিৃদ্ধির কথা যা বলা হচ্ছে তা নতুন নয়। এটি একটি স্বাভাবিক ট্রেন্ড যা আদমশুমারিগুলোতে দেখা যাচ্ছে। এর প্রমাণ ভালভাবে নথিভুক্ত করা রয়েছে।
শুমারির তথ্যে দেখা যায়, ১৯৫১ সালে মুসলিম ছিল ৯.৮ শতাংশ। ২০১১ সালে তা হয় ১৪.২ শতাংশ। কিন্তু ২০১৫ সালের তথ্যে দেখা যায় মুসলমান কমে হয়েছে ১৪.০৯ শতাংশ। এ তথ্য তাদের প্রকাশনাতেই আছে। এ ছাড়াও আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫১ সাল থেকে দেশটির মুসলিম জনসংখ্যার হার সামান্যই বেড়েছে। এমনকি গত তিন দশক ধরে বৃদ্ধির হার হ্রাস পাচ্ছে।
চন্দ্রশেখরের দ্বিতীয় দাবিটি স্রেফ মিথ্যা। কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে কোটা সংরক্ষণ করতে চায় এমন দাবির বিষয়টি বেশ কয়েকটি সংস্থা যাচাই করে বাতিল করেছে। কংগ্রেসের ইস্তেহারে এমন কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।
(স্ক্রল ডট ইনে প্রকাশিত অভীক দেবের বিশ্লেষণ থেকে )