সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির
গাজায় যা হচ্ছে তা অমানবিক, বর্বর ও চরম নিষ্ঠুরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির
গাজায় যা হচ্ছে তা অমানবিক, বর্বর ও চরম নিষ্ঠুরতা বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির। আজ শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে 'মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারে গাজাকে রক্ষা করতে' শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ছায়া সংসদে আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়া সংসদের শুরুতেই ফিলিস্তিনীদের ওপর বর্বরোচিত হামলায় নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এম হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশের পাসপোর্টে “ইসরাইল ব্যতীত বিশ্বের সব দেশের জন্য প্রযোজ্য’, বাক্যটি পুনরায় সংযোজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত। এতে দেশের মানুষের জনমতের প্রতিফলন ঘটেছে।
সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, গাজায় যা হচ্ছে তা অমানবিক, বর্বর ও চরম নিষ্ঠুরতা। সজ্ঞানে একটি জাতিকে নিধনের চেষ্টা। মার্কিনিরা চাইছে গাজাবাসীকে তাদের ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করে বিনোদনকেন্দ্র স্থাপন করতে।
এম হুমায়ুন কবির আরও বলেন, বর্তমানে তেলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার সক্ষমতা মুসলিম বিশ্বের নেই। তেলের প্রধান উৎপাদক এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও অন্যান্য দেশ। মুসলিম বিশ্ব এখন এককভাবে তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে না। শুধু মুসলিম বিশ্বের ঐক্য দিয়ে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়, এর সাথে দরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা।
ভারতের ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল প্রসঙ্গে সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল অহেতুক সমস্যা তৈরির করবে, যা না হওয়া বাঞ্ছনীয়। এটি একটি রাজনৈতিক প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এই আইনটি মুসলমানদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, জঘন্যতম বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়ে গাজা এখন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন করা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো বিভক্তি নেই। বাংলাদেশের মানুষ মনে করে ফিলিস্তিনবাসীর এই লড়াই একার কোনো লড়াই নয়। ছায়া সংসদে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকদের পরাজিত করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, রোকেয়া পারভীন জুই, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাংবাদিক ড. শাকিলা জেসমিন। -