বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার অভিযোগে মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া এ আদেশ দেন।

ধানমন্ডি থানার একটি প্রতারণা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার করা আবেদনের প্রেক্ষিতে মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি চাওয়া হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।

গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মেঘনাকে আটক করে পুলিশ। আটকের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি অভিযোগ করেন, পরিচয় না দিয়ে কিছু ব্যক্তি পুলিশ দাবি করে জোর করে তার বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করছে। প্রায় ১২ মিনিটের ওই লাইভ চলাকালেই পুলিশ তাকে আটক করে এবং কিছু সময় পরই লাইভটি তার প্রোফাইল থেকে মুছে যায়। তবে ইতোমধ্যে ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

পরদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক রাখার আবেদন করলে আদালত মেঘনাকে ৩০ দিনের রিমান্ডে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ।

এই ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে ১২ এপ্রিল দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। তিনি মডেলিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমেও যুক্ত ছিলেন।