আলোচনায় পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা, রেল ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল

ছয় দফা দাবি আদায়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক শুরু হয় বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন’।
সংগঠনটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রধান উপদেষ্টার মধ্যস্থতায় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের আহ্বানে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। বৈঠক চলাকালীন সময় ‘রেল ব্লকেড’ কর্মসূচি শিথিল রাখা হবে।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী রমজান আলী জানান, “বৈঠকের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
এর আগে বুধবার সারাদিনব্যাপী দেশব্যাপী আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে ‘রেল ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবেন। এর মধ্যে রাতেই ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান খানকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ তাঁকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করে ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ শাহেলা পারভীনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি:
ক্রাফট ইনস্ট্রাকটরদের পদবি পরিবর্তন ও অপসারণ দাবি: জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাইকোর্টের রায় বাতিল, ২০২১ সালের বিতর্কিত নিয়োগ নীতিমালা বাতিল, এবং সংশ্লিষ্টদের চাকুরিচ্যুতির দাবি জানানো হয়েছে।
চার বছর মেয়াদি কোর্স চালু রাখা: ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদে অব্যাহত রাখা এবং আধুনিক বিশ্বমানের সিলেবাস ও কারিকুলাম প্রণয়ন।
১০ম গ্রেডে চাকরির দাবিসহ সংরক্ষণের দাবি: উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের পদে কেবল চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়োগ সংরক্ষণ এবং সর্বনিম্ন ১৬,০০০ টাকা বেসিক বেতনের দাবি।
কারিগরি পদে শিক্ষিতদের নিয়োগ: কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি গঠন করে পরিচালনা পদসহ সব দায়িত্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান।
দক্ষ জনবল নিয়োগ: কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ নীতিমালা সংশোধন করে শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার গেজেট: ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের গেজেট পাস ও প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শতভাগ আসন পূরণের দাবি।