বর্ষবরণ উৎসবে প্রতিরোধের বার্তা: বৈষম্য ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আনু মুহাম্মদের আহ্বান

রাজধানীর গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দীন পার্কে নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত বর্ষবরণ উৎসবে অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সমাজে আবারও কিছু সংকীর্ণমনা ও বৈষম্যবাদী গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যারা উৎসব ও নারীর সক্রিয়তা সহ্য করতে পারে না। তাদের কার্যকলাপে চট্টগ্রামে বর্ষবরণ মেলায় হামলা ও ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, “আমরা যখন উৎসব করি, সেটি আনন্দের দিবস তো বটেই, তবে এটি প্রতিরোধেরও একটি দিন হয়ে ওঠে।” বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় শিশু, নারী ও পুরুষদের হত্যার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “এই রক্তাক্ত পৃথিবীতে আমাদের প্রতিরোধ শুধু নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নয়, মানবিক বিশ্ব গঠনের জন্যও প্রয়োজন।”
পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি দায় চাপান উন্নয়নের নামে প্রকৃতিবিনাশী কর্মকাণ্ডের ওপর। “এই গরম, এই অস্থির প্রকৃতি—সবকিছুর পেছনে রয়েছে প্রভাবশালী গোষ্ঠী ও বিগত সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীন উন্নয়ন পরিকল্পনা।”
অনুষ্ঠানে দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা যেন আমাদের পরিবারে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়াই। আমাদের শিশুদের বাংলা সাহিত্য, সঙ্গীত, সংস্কৃতির সৌন্দর্য জানাতে হবে। বিদেশে উচ্চশিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হলেও নিজের সংস্কৃতিকে ধারণ করাটাই আমাদের প্রকৃত পরিচয় তৈরি করে।”
আয়োজনে আরও বক্তব্য দেন গুলশান সোসাইটির সভাপতি ওমর সাদাত এবং অলিগলি বন্ধু উদ্যোগের পক্ষ থেকে নাভিন মুরশিদ। নানা আয়োজন আর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে গুলশানের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।