চারুকলায় শোভাযাত্রার মোটিফ পোড়ানো ‘পূর্বপরিকল্পিত’, নিরাপত্তা ঘাটতি ছিল কিনা খতিয়ে দেখছে র্যাব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য নির্মিত মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি ‘পূর্বপরিকল্পিত’ ছিল বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তায় কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান।
রোববার সকালে রমনা বটমূলে ছায়নটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, “ঘটনাটি তদন্তাধীন। যারাই জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কারও গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শনিবার ভোরে চারুকলায় বর্ষবরণের শোভাযাত্রার জন্য তৈরি ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ নামের দুইটি মোটিফে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গোটা চারুকলা ও সংস্কৃতি অঙ্গনে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মো. ইসরাফিল রতন জানান, কালো টি-শার্ট ও মুখে মাস্ক পরিহিত এক যুবক দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে মাত্র দেড় মিনিটেই আগুন লাগিয়ে চলে যায়। তিনি বলেন, “ঘটনাটি স্পষ্টভাবে পূর্বপরিকল্পিত ছিল। ছেলেটির আচরণ খুব পেশাদার মনে হয়েছে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলামও ঘটনার ইচ্ছাকৃততা নিয়ে সন্দেহ নেই বলে জানান।
এ বিষয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অভিযোগ করেছেন, "চারুকলায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ পুড়িয়েছে হাসিনার দোসররা।"
রমনার অনুষ্ঠান ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার কথা জানিয়ে র্যাব প্রধান বলেন, “ডগ স্কোয়াড, সাদা পোশাকের গোয়েন্দা, সাইবার ইউনিট, টহল টিম—সবাই কাজ করছে। যাতে কেউ গুজব ছড়াতে না পারে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, চারুকলা, রমনা, রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিলসহ সব ভেন্যুতে সুষ্ঠু বর্ষবরণের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ বছর নিরাপত্তা পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় ‘অনেক ভালো’ বলেও দাবি করেন তিনি।