
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে দেশে অন্তত ৪৪২ জন নারী ও কন্যাশিশু নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন। সোমবার (৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায় সংস্থাটি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৬৩ জন নারী ও কন্যাশিশু, যার মধ্যে ১২৫ জন কন্যাশিশু। এদের মধ্যে ১৮ কন্যাশিশুসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সবচেয়ে মর্মান্তিক তথ্য হলো, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২ জন কন্যাশিশুকে, এবং আরও ২ জন ধর্ষণের ফলে আত্মহত্যা করেছে।
ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন ৭০ জন নারী ও শিশু, যার মধ্যে ৫৫ জন কন্যাশিশু। এছাড়া, ১২ জন কন্যাশিশুসহ ১৬ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। উত্ত্যক্ত হয়েছেন আরও ৮ জন নারী, যাদের মধ্যে ৬ জন কন্যাশিশু।
বিভিন্ন কারণে ৫৪ জন নারী ও কন্যাশিশু নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৯ জন কন্যাশিশু। হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ২টি, আর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের, যার মধ্যে ৯ জন কন্যাশিশু। আত্মহত্যা করেছে ১৩ জন, যাদের মধ্যে ২ জন কন্যাশিশু।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ১০ জন কন্যাশিশুসহ ২১ জন নারী ও শিশু পাচারের শিকার হয়েছেন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫ জন, এর মধ্যে ২ জন নিহত হয়েছেন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার ১৭ জন, যার মধ্যে ২ জন কন্যাশিশু।
ঘরের ভেতরেও নিরাপদ নয় তারা—পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন ৩ জন, এবং ২ জন গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। অপহরণের শিকার ৮ জন, যার মধ্যে ৬ জন কন্যাশিশু। অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন আরও ১১ জন।
এছাড়াও, ৩ জন সাইবার অপরাধের, ৩টি বাল্যবিয়ের চেষ্টার এবং ১২ জন নারী ও কন্যাশিশুর ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এই পরিসংখ্যান নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নতুন করে সামনে আনে।