
তামিম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ম্যাচ চলাকালীন ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তামিম ইকবাল। তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও এনজিওগ্রামের পর হার্টে রিংও পরানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তামিমের অবস্থা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে তামিমের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে ব্রিফ করেছেন চিকিৎসকরা। তারা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে অনেকটাই শঙ্কামুক্ত তামিম।
গতকাল (সোমবার) হার্টে রিং পরানোর পর থেকেই তামিমের একটু একটু করে উন্নতি হতে থাকে। রাতে পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। আজ (মঙ্গলবার) সকালে সিসিইউ থেকে অল্প সময়ের জন্য কেবিনে নেওয়া হয় দেশসেরা এই ওপেনারকে। সেখানে পরিবারের সঙ্গে সময়ও কাটিয়েছেন।
কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) দায়িত্বরত চিকিৎসক মনিরুজ্জামান মারুফ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তামিম এখন ভালো আছেন। অল্প অল্প হাঁটাচলা করছেন, হাসিখুশি আছেন। অল্প কিছুক্ষণের জন্য তাকে কেবিনে দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আবার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে।’
কিছুটা সুস্থ হলেও এখন ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তামিমকে। আজ দুপুরের দিকে তামিমের কিছু পরীক্ষা করানোর কথা। সব ঠিক থাকলে আনা হবে ঢাকায়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তামিমকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে। যদিও সবটাই নির্ভর করছে অনেক কিছুর ওপর। আপতত সিসিইউতেই আছেন তিনি।
তামিমের অবস্থা নিয়ে তার ছোটবেলার এক বন্ধু জানিয়েছেন, ‘তামিম আগের চেয়ে অনেকটা ভালো বোধ করছেন। রাতে ভালো ঘুমও হয়েছে। ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে তার। একজনের সাহায্য নিয়ে রুমের মধ্যে হাঁটাচলাও করেছেন।’
এদিকে, তামিমের সুস্থতা কামনা করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের তিনটি ম্যাচ শুরুর আগেই পড়ানো হয়েছে বিশেষ দোয়া। বিকেএসপির তিন ও চার নম্বর মাঠ এবং মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলোর আগে এই দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
তামিম মাঠে গুরুতর অসুস্থ হন সোমবার। তখন বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে চলছিল ডিপিএলের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচ। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে নেমে মাঠেই হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ককে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার আগে তামিমকে নিতে হেলিকপ্টারও আনা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় পাশে থাকা কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজেই চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তাকে।