এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি, কোচিং টানা ৩৪ দিন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এছাড়া ৩৪ দিন কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার (২২ মার্চ) ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত পরিপত্রটি প্রকাশ করা হয়।
পরিপত্রে লিখিত পরীক্ষা চলাকালীন সারা দেশে ৩৪ দিন সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হবে পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে, বন্ধ রাখতে হবে ফটোকপি মেশিন।
এ পরীক্ষার লিখিত বা তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১০ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হবে ১৩ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত চলবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিটের পর পরীক্ষাকেন্দ্রে এলে রেজিস্টারে নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করতে হবে।
আরও বলা হয়, বিলম্বে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করবে। তবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পর কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ বা পরীক্ষা গ্রহণে অনুমতি দেওয়া যাবে না। পরীক্ষা চলাকালীন এবং পরীক্ষা অনুষ্ঠানের আগে বা পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষসংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।
পরীক্ষার সময় পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশকারী অননুমোদিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া অনিবার্য কারণবশত কোনো পরীক্ষা দেরিতে শুরু করতে হলে যত মিনিট পর পরীক্ষা শুরু হবে, পরীক্ষার্থীদের সে সময় থেকে যথারীতি প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত নির্ধারিত সময় যুক্ত হবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসনকে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য কেউ মুঠোফোন ও মুঠোফোনের সুবিধাযুক্ত ঘুড়ি, কলম বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রের সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।