মিথ্যা তথ্যে ডব্লিউএইচওতে চাকরি, পুতুলের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম

মিথ্যা তথ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় চাকরি ও সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে চাপ দিয়ে ২০টি ব্যাংক থেকে ৩৩ কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগে শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও নজরুল ইসলাম মজুমদার পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসভুক্ত ব্যাংকগুলোর সিএসআর ফান্ড থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে সূচনা ফাউন্ডেশনে টাকা প্রদানের চাপ প্রদান করেন। এর ফলে ২০১৭ সালের মে মাসে ২০টি ব্যাংক বাধ্য হয়ে তাদের সিএসআর খাত থেকে ৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা সূচনা ফাউন্ডেশনের অনুকূলে প্রদানের জন্য বাধ্য করা হয়।
এই অর্থ কিভাবে এবং কোন খাতে খরচ করা হয়েছে, তা জানার জন্য অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সূচনা ফাউন্ডেশনে দুদক থেকে চিঠি পাঠানো হলেও কোনো রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি এবং দুদকের এক অভিযানেও প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
ভুয়া রেকর্ডপত্রের মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয়েছে। সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের জন্য জমাকৃত অর্থ (সিএসআর ফান্ড) এভাবে অপব্যয় এবং আত্মসাতের অভিযোগ আসায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরেক মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
এজাহারে বলা হয়, তিনি এ পদে নিয়োগ লাভের উদ্দেশ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ২০২৩ সালে সিভি পাঠান। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিক্ষকতা/শিক্ষা ম্যানুয়েল তৈরি করে আবেদন এবং পরবর্তী সময়ে আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ লাভ করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, সিভিতে তিনি বিএসএমএমইউ’র শিক্ষকতা/শিক্ষা ম্যানুয়েল রিভিউ সম্পর্কিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, অটিজম এবং মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত কারিগরি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন। এ দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা উল্লেখ করায় তার সিভি সমৃদ্ধ হয়, যার ফলে আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগের পথ সুগম হয়।