কুয়েট
পিটুনি খাওয়া সেই কিশোর এখন প্রিজন সেলে

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মাঝে পড়ে মারধরের শিকার হয় কিশোর ইব্রাহিম। সেনাসদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও, পরে তাকে আটক করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে কুয়েটের সামনে সংঘর্ষ চলাকালে ইব্রাহিম মারধরের শিকার হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন, সেনাসদস্যরা তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন। তার বাড়ি খুলনার যোগীপোল ইউনিয়নের জাব্দিপুর গ্রামে। বাবা আবুল বাশার বাদশা ভাঙাড়ির দোকানে কাজ করেন, আর মা নাজমা বেগম গৃহকর্মী।
প্রতিবেশীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ইব্রাহিম সংঘর্ষের আগে বাড়িতে ছিল। মারামারির খবর পেয়ে কৌতূহলবশত ঘটনাস্থলে যায় এবং একপর্যায়ে পাশের ক্লিনিকে আশ্রয় নেয়। পরে ছাত্ররা সেখানে ঢুকে তাকে মারধর করে। পুলিশ দাবি করছে, কুয়েট সংঘর্ষে আটক কেউ নেই, শুধু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ইব্রাহিমের পরিবার দাবি করেছে, তাকে অন্যায়ভাবে আটক রাখা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এটি অমানবিক ও বেআইনি। প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে কিশোরদের রাখা আইনবিরোধী এবং এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।