Logo
Logo
×

সংবাদ

হাসিনার সরাসরি নির্দেশে আন্দোলনের সময় নির্বিচারে গুলি করা হয়েছিল

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম

হাসিনার সরাসরি নির্দেশে আন্দোলনের সময় নির্বিচারে গুলি করা হয়েছিল

পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতার ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনীগুলো তার নির্দেশনা পেয়ে আন্দোলন ঠেকাতে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে উঠেপড়ে লেগেছিল। জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দলের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ, আধাসামরিক, সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্তার সমন্বয়ে গঠিত ‘কোর কমিটি’র সঙ্গে ২০ জুলাই থেকে নিয়মিত বৈঠক করতেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আন্দোলন দমাতে নানা পরামর্শ, বাহিনী মোতায়েনসহ অন্যান্য নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে দিত কোর কমিটি। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। মধ্য জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ শাখা, ডিজিএফআই ও এনএসআইর প্রধানদের কাছ থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি প্রতিবেদন পেতেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২১ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের বিষয়ে শেখ হাসিনাকে সাবধান করা হয়। একই ধরনের উদ্বেগের কথা আগস্টের শুরুতেও তাঁকে জানানো হয়েছিল। ২৯ জুলাই মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আন্দোলনের আদ্যোপান্ত প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরা হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টারা সরাসরি ও টেলিফোনে নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের আদেশ দেওয়ার পাশাপাশি অভিযান পর্যবেক্ষণ করতেন। প্রতিবেদনে যাত্রাবাড়ীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাঠ পরিদর্শনের বর্ণনা তুলে ধরা হয়, যেখানে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, ‘একজনকে মারলেও বাকিরা যায় না।’

সরকারের কিছু জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তথ্য অনুসন্ধান দলের কাছে দাবি করেছেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইনের মধ্যে থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে বলপ্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাহিনীগুলো নিজ থেকেই অতিরিক্ত বল দেখিয়েছে। তবে এ তথ্যের সত্যতা পায়নি জাতিসংঘের দলটি। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ঢাকা শহরসহ পুরো দেশে একই ধরনের সমন্বিত অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে। যখন এ ধরনের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, তখন তা সত্যিকারের জবাবদিহি ও তদন্তের দাবি রাখে। ঘটনার সময় রাজনৈতিক শীর্ষ নেতারাও মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক তথ্য মাঠ থেকে পেয়েছেন। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে শেখ হাসিনাসহ অন্য কর্মকর্তারা তা গোপন করার পাশাপাশি আন্দোলনকারী ও বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপান।

সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও অন্যান্য সূত্রের জবানবন্দির মাধ্যমে জাতিসংঘ এটি নিশ্চিত হয়েছে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব সজ্ঞানে, সমন্বয় ও নির্দেশনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে পুরো পুলিশ বাহিনী, আধাসামরিক, সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর সহিংসতা ও নির্যাতন পরিচালনা করেছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমানভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: banglaoutlook@gmail.com

অনুসরণ করুন