সংস্কৃতি উপদেষ্টার ক্ষোভ: পদত্যাগ করলেন সাজ্জাদ শরিফ

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া বিতর্কের মধ্যে নির্বাহী পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কবি সাজ্জাদ শরিফ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নবগঠিত নির্বাহী পরিষদে যুক্ত হলেও তিনি বুধবার একাডেমির মহাপরিচালকের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, পুরস্কার সংক্রান্ত সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে বাংলা একাডেমির মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে তার মনে হচ্ছে।
এবারের পুরস্কারের তালিকায় কোনো নারী লেখক না থাকায় সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তোলার পর থেকেই বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। পরে বাংলা একাডেমি পুরস্কার স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে। আগের দশ জনের তালিকা থেকে কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক লেখায় মোহাম্মদ হান্নান এবং শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজকে বাদ দেওয়া হয়। নতুন তালিকায় সাতজন লেখক-পণ্ডিতের নাম ঘোষণা করা হয়।
পুরস্কার থেকে বাদ পড়ে সেলিম মোরশেদ নিজে পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে পুরস্কারের জুরি সদস্য মোরশেদ শফিউল হাসানও দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি জানান, সংস্কৃতি উপদেষ্টার ফেইসবুক পোস্ট এবং পরবর্তীতে পুরস্কার পুনর্বিবেচনার ঘটনায় ‘আত্মসম্মানবোধ থেকে ও নিজের বিচারবুদ্ধির ওপর আস্থা রেখে’ তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের পুরস্কার তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। বিতর্কের মাঝে কবি সাজ্জাদ শরিফের পদত্যাগ একাডেমির কর্তৃত্ব ও স্বচ্ছতাকে নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।