![জুলাই ঘোষণা চূড়ান্ত করতে সর্বদলীয় বৈঠক চলছে](https://banglaoutlook.org/uploads/2025/01/online/photos/meeting-6788ee8265c98.jpg)
জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই ঘোষণা’ চূড়ান্ত করতে সর্বদলীয় বৈঠক শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে বৈঠক শুরু হয়েছে।
বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বৈঠকস্থলে প্রবেশ করেন।
বৈঠকে অংশ নিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ।
এছাড়াও আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা এবং গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক।
এছাড়াও আছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা হাসনাত কাইয়ূম। এরপর আছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঢুকতে দেখা গেছে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপনকে।
বৈঠকে যোগ দিতে হাজির হয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল ও মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ।
এরআগে অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। গত ২৯ ডিসেম্বর ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় তারা। ৩১ ডিসেম্বর ওই ঘোষণাপত্র প্রকাশের কর্মসূচিও দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে ২৯ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নাৎসি বাহিনীর মতো অপ্রাসঙ্গিক এবং ১৯৭২ সালের সংবিধানের কবর রচনা করা হবে।
পরে সরকারের তরফ থেকেই ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগের কথা বলা হয়। যদিও প্রথমে তারা এর সঙ্গে ছিল না। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার যেহেতু ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে, তারা তাতেই সমর্থন দেবে। তবে ওই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম গত ৯ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যেহেতু সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে, তাই ১৫ জানুয়ারির পর কিছু সময় বাড়তে পারে। তবে খুব বেশি দেরি হবে না।
এর মধ্যে মতামতের জন্য ঘোষণাপত্রের খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়।