Logo
Logo
×

সংবাদ

মৌসুমের সর্বনিম্ন ৭.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় স্থবির পঞ্চগড়

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম

মৌসুমের সর্বনিম্ন ৭.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় স্থবির পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ে এক অংকে নেমেছে তাপমাত্রা। ঘনকুয়াশার পাশপপাশি বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। একারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীতে কাঁবু হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন। তিন দিন ধরে পঞ্চগড়ে দিনভর কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল। আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জেলার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

হিমালয়ের হিমেল বাতাস সরাসরি প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমেছে। বর্তমানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। দিনের তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। সকাল থেকে র্সূয উঠলেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করায় ঠান্ডা বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে এখানে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে যাবে।

শীতের কারণে অসহায় ছিন্নমূল দরিদ্র মানুষের কাজকর্ম কমেছে। আয় কমে যাওয়ায় পরিবারগুলোতে দুর্ভোগ বেড়েছে। অসচ্ছল দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, চাশ্রমিক, পাথর শ্রমিকসহ জেলার লাখ লাখ শ্রমিক ওতাদের পরিবারের লোকজন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কাজকর্ম করতে না পেরে এবং গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

শহরের অটোচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, সকালে ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসে গাড়ি চালানো যায় না। রাস্তাঘাটে যাত্রীও তেমন পাওয়া যায় না। ফলে আয় রোজগার কমেছে। শীত আসলে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

দিনমজুর লুৎফর মিয়া বলেন, শীতের সময় কাজ পাই না। কাজ না পেলে সংসার চালানো কষ্ট হয়। আয় না হলে তো খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়।

চা শ্রমিক আলেয়া খাতুন জানান, সকাল বেল ঘনকুয়াশায় চা গাছ ভিজে যায়। সকাল সকাল পাতা তুলতে খুব কষ্ট হয়। ঠান্ডা লাগে। হাত পা অবশ হয়ে যায়।

পঞ্চগড় এলাকার জিপু ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই তাপমাত্রা নিচে নেমে এসেছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার পাশাপাশি বাতাস বয়ে যাচ্ছে।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন