বাংলাদেশের উৎপাদন ও সেবা খাতে বিনিয়োগ করতে চায় তুরস্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম
বাংলাদেশের উৎপাদন ও সেবা খাতে বিনিয়োগে তুরস্কের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমর বোলাত নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিনিয়োগের কার্যকর দিকগুলো উন্মোচনে এখন বৈঠকে বসবে জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, মেশিনারিজ ইন্ডাস্ট্রিজ, অবকাঠামো খাত ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে তুরস্ক আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ তুরস্কে রপ্তানি করে ৫০০ মিলিয়ন ডলার এবং তুরস্ক থেকে আমদানি করা হয় ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। আমরা তুরস্কে একটু বেশি রপ্তানি করি, কম আমদানি করি। এর মধ্যে গত বছর তুরস্কে রপ্তানি ৩০ শতাংশের মতো বেড়েছে।
শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৭ কোটির মতো। এত বড় জনসংখ্যার ভিত্তিতে বাণিজ্যের এ আকারটা যথেষ্ট নয় বলে আমরা মনে করি। বাণিজ্যের আকার আরও বহুগুণে বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনা অর্জন করার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা খাতগুলো চিহ্নিত করেছি। খাতগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনে আলোচনা করে ফাংশনাল খাতগুলো ঠিক করব।
উপদেষ্টা বশির বলেন, তুরস্ক ৮ বিলিয়ন ডলার সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করে থাকে। তারা জুতসই সামরিক সরঞ্জামে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে, আমাদেরও আগ্রহ রয়েছে। বিষয়গুলো জয়েন ইকোনমিক কমিশনে আরও আলোচনা হবে। সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন খাতেও বিনিয়োগের কথা বলেছে তুরস্ক।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে তুরস্কের। দেশটি এলপিজি, সিঙ্গার ইলেকট্রনিক্স ও কোকাকোলা বোটলিংয়ে বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া সেবা খাতেও তাদের বিনিয়োগ রয়েছে।