হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছান। এর আগে রাত ৮টা ১৩ মিনিটে গুলশানের তার নিজ বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা দেন তিনি।
তিনি রয়েল কাতার আমারি ‘এয়ার এ্যাম্বুলেন্স’ যোগে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাচ্ছেন তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান। সঙ্গে রয়েছেন দীর্ঘদিনের পরিচর্যাকারী গৃহকর্মী ফাতিমা বেগমও। খালেদা জিয়া কারাবন্দী থাকা অবস্থায় ফাতেমা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। আরও যাচ্ছেন তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের ছয়জন সদস্যও। তাঁরা হলেন মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিক, অধ্যাপক নরুদ্দিন আহমেদ, জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও মোহাম্মদ আল মামুন।
এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার ও প্রটোকল অফিসার এস এম পারভেজও খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হয়েছেন।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা উপলক্ষ্যে নেত্রীকে বিদায় জানাতে সড়কে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান নিয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এতে গুলশান খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে বনানী মূল সড়ক পর্যন্ত এক মানবপ্রাচীর তৈরি হয়েছে। সেইসঙ্গে নেতা-কর্মীদের মুহুর্মুহু স্লোগান আর মিছিলে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে পুরো গুলশান-বনানী এলাকা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ আরও জানান, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার চিকিৎসক দলের ছয় সদস্যসহ ১৬ জনের একটি দল দোহা হয়ে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। লন্ডনে পৌঁছানোর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন।
সবশেষ ২০১৭ সালের জুলাইয়ে তিনি বিদেশ সফর করেছিলেন। এবার অর্ধ যুগের বেশি সময় পর দেখা হতে যাচ্ছে মা ও ছেলের। বিমানবন্দরের সামনে যুক্তরাজ্য বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী তাঁদের প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
লন্ডন পৌঁছেই সেখানকার ঐতিহ্যবাহী হাসপাতাল ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ ভর্তি হবেন বেগম খালেদা জিয়া।