বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতার আমিরের পাঠানো রয়েল কাতার আমারি বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি।

তাঁকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানের বাসা ফিরোজার সামনে জমায়েত হয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সময় গড়ানোর সঙ্গে বড় হয়ে আসছে এই জনতার ঢল।

এছাড়া এরইমধ্যে নেত্রীকে বিদায় জানাতে গুলশান থেকে বিমানবন্দর সড়কে নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে। পথে পথে জড়ো হয়েছেন হাজারো নেতা-কর্মীরা। সুস্থ হয়ে দেশের রাজনীতিতে ফিরবেন বেগম জিয়া এমন প্রত্যাশা তাদের।

সরেজমিন দেখা গেছে, ফিরোজার সামনের রাস্তাটিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। সন্ধ্য ৬টা ১০ মিনিটে ফিরোজায় আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর সাড়ে ৬টায় তিনি বেরিয়ে যান।

জানা গেছে, গুলশান-২ এর বাসা ফিরোজা থেকে রাত ৮টায় চেয়ারপারসনকে নিয়ে গাড়িটি কাকলী গোলচত্বর হয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতার আমিরের বিশেষ বিমানটি গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা এজেডএম জাহিদ হোসেন বেলা ৩টা নাগাদ ফিরোজা ভবনে প্রবেশ করেছেন বলে জানা গেছে।

সবশেষ ২০১৭ সালের জুলাইয়ে তিনি বিদেশ সফর করেছিলেন। এবার অর্ধ যুগের বেশি সময় পর দেখা হতে যাচ্ছে মা ও ছেলের। বিমানবন্দরের সামনে যুক্তরাজ্য বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী তাঁদের প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানাবেন। 

লন্ডন পৌঁছেই সেখানকার ঐতিহ্যবাহী হাসপাতাল ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ ভর্তি হবেন বেগম খালেদা জিয়া।