এখনো মেলেনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি

সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান করছেন বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা। ছবি: সংগৃহীত
আরো পড়ুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আশ্বাসের পরও আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি পেশাদার সাংবাদিকরা। বর্তমানে সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান করছেন বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা। এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন কয়েকজন সাংবাদিক।
সচিবালয়ে ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ২৬ ডিসেম্বর রাতে সাংবাদিকদের সচিবালয় প্রবেশের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয় কাভার করা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আশ্বাস দেন, সোমবার থেকে অস্থায়ী পাস নিয়ে সাংবাদিকরা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও সাংবাদিকদের একই তথ্য জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে অস্থায়ী পাসের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সাংবাদিকদের তালিকাও দেওয়া হয়। কিন্তু, তারপরও পেশাগত কাজে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারছেন না সাংবাদিকরা।
এ বিষয়ে সচিবালয়ের প্রধান গেটে দায়িত্ব পালনকারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে গেটে সাংবাদিকদের একটি তালিকা দেওয়া হলেও পরে সেটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কাজ এখনো চলমান থাকায় কমিটির প্রধান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সাংবাদিকদের প্রবেশে এখনো অনুমতি দেননি।
সচিবালয়ে এক নম্বর গেটে গিয়ে দেখা গেছে, রবিবারের মতো আজও উপদেষ্টা, সচিব এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক ও দুই নম্বর গেটের মধ্যবর্তী দর্শনার্থী কক্ষ এবং পাঁচ নম্বর গেট দিয়ে হেঁটে প্রবেশ করছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। ১টা ৫৪ মিনিটে প্রথম ইউনিট পৌঁছে যায়। সেখানে মোট ২০টি ইউনিট নিয়োজিত করা হয়। এর মধ্যে ১০টি ইউনিট সরাসরি কাজ করে। ১০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নির্বাপিত হয়। আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে ট্রাকচাপায় সোহানুর জামান নয়ন নামে ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য নিহত হন।
এদিকে, আগুনে ভবনটির ষষ্ঠ থেকে নবম তলায় অবস্থিত পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র, কম্পিউটার ও আসবাব পুড়ে যায়। আগুন লাগার কারণ ও উৎস অনুসন্ধানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২৬ ডিসেম্বর রাতে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রয়োজনে আলামত দেশের বাইরেও পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে সরকার।