সাংবাদিকদের বেতন পরিশোধে টালবাহানা ও চাকরিচ্যুতিতে উদ্বেগ ডিইউজের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম
প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক-কর্মচারী ও দৈনিক জনকণ্ঠ থেকে ইতিপূর্বে চাকরিচ্যুতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বেতন-ভাতা পরিশোধে কর্তৃপক্ষের টালবাহানা, দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ প্রতিনিধি সাঈদ আহমেদ খানকে হত্যার হুমকি এবং পত্রিকার সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনসহ তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাহী পরিষদ। একইসঙ্গে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের তল্পিবাহকদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পদোন্নতি দিয়ে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতিসহ কোনো কোনো ক্ষেত্রে পদাবনতির প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাহী পরিষদের সভায় শীঘ্রই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার দাবি জানানো হয়। ডিইউজের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের পরিচালনায় নির্বাহী পরিষদের কর্মকর্তা ও ইউনিট প্রধানেরা সভায় বক্তব্য দেন।
সভায় বলা হয়, নানা অজুহাতে প্রতিদিনের বাংলাদেশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা ও ন্যায্য পাওনা পরিশোধে গড়িমসি করছে। ফলে এসব সাংবাদিকরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা আগের মতোই এখনো সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা নিলেও সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিচ্ছে। ডিইউজের নির্বাহী পরিষদ নিয়মিত বেতন পরিশোধসহ অবিলম্বে সকল পাওনা পরিশোধের দাবি জানায়।
সভায় আরও বলা হয়, সম্প্রতি দৈনিক ইনকিলাবে জনৈক নুরুল ইসলামের মালিকানাধীন নোমান গ্রুপ শিল্প পরিবারের বিরোধপূর্ণ সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট, বাংলাদেশ ব্যাংকের বন্ধকি সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ গ্রহণ, বিদেশে অর্থপাচারসহ নানা বিষয়ে একাধিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ নুরুল ইসলাম তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে প্রতিবেদক সাঈদ আহমেদ খানকে হত্যার হুমকি, পত্রিকার সম্পাদকসহ তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করছে। এ ব্যাপারে গত ৪ ডিসেম্বর ডিএমপি ওয়ারি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে, যার নম্বর ১৯৭। ডিইউজে নির্বাহী পরিষদ অবিলম্বে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়।
সভায় বিগত সরকারের সময় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্তদের বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের কারও কারও পদোন্নতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় অবিলম্বে বিগত সরকারের আমলে বাসসে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।