ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা স্বেচ্ছায় সরে গেলে সাধারণ ক্ষমা পাবেন: ফারুক ই আজম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা সনদ বাতিল করে নিজেরাই সরে গেলে সাধারণ ক্ষমা পাবেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) শহিদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রমের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
ফারুক ই আজম বলেন, ‘বহু অভিযোগ আছে যে মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তালিকাভুক্ত হয়েছেন, গেজেটভুক্ত হয়েছেন এবং সুবিধাদি গ্রহণ করছেন। আমার দৃষ্টিতে এটি জাতির সঙ্গে প্রতারণার সামিল। এটি ছোটখাটো অপরাধ নয়, অনেক বড় অপরাধ।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘১২ বছর ছয় মাস বয়সী ২ হাজার ১১১ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করার পর এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আদালতের কাছ থেকে যখন এই বিষয়টি নির্ণিত হবে, তখন তাদের তো বাতিল করবই। সেইসঙ্গে এর প্রয়োজনীয় সাজার ব্যবস্থাও আমরা করব।’
ফারুক ই আজম বলেন, অন্য যেসব মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ইতিমধ্যে অমুক্তিযোদ্ধা যারা তালিকাভুক্ত হয়েছেন, আমরা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সুনির্দিষ্ট করতে পারলে তাদের ক্ষেত্রেও একই রকমের বিষয় হবে। তাদের সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাওয়া উচিত।
ফারুক ই আজম বলেন, ‘আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত আমরা এ বিষয়ে একটি কার্যকর ব্যবস্থায় যেতে পারব। আমাদের নীল তালিকা, লাল তালিকা, ভারতীয় তালিকা- অনেকগুলো মুক্তিযোদ্ধার তালিকা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অনুরাগের বশে বা কারও আত্মীয়তার বশে বা অন্য কোনো প্রলোভনে এখানে বহু মানুষকে মুক্তিযোদ্ধা করা হয়েছে। তাদের চিহ্নিত করতে একটু সময় তো লাগবেই।’
ফারুক ই আজম বলেন, যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা, কোনোভাবে যাতে তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ না হয়, সে বিষয়টি মাথায় রেখেই এক কাজ করা হবে। সেটি অক্ষুণ্ণ রেখেই বাকি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এটিই আমাদের জন্য দুরহ কাজ। তবে প্রচেষ্টা রাখছি; আশা করছি এ ক্ষেত্রেও সফলতা আসবে।’
ফারুক ই আজম আরও বলেন, ‘আমরা একটি ইনডেমনিটিও হয়তো দেব, যারা অমুক্তিযোদ্ধা এভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এসেছেন, তারা যাতে স্বেচ্ছায় এখান থেকে চলে যান। যদি যান, তারা হয়তো তখন সাধারণ ক্ষমাও পেতে পারেন। আর যদি সেটি না হয়, আমরা যেটি বলেছি- প্রতারণার দায়ে আমরা তাদের অভিযুক্ত করব।’