উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে শুক্রবার সকালে ঘন কুয়শায় ঢেকে গেছে চারিদিক। বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
শুক্রবার ভোর থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পুরো রাস্তাঘাট। গত দুদিন থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে জেলায়। মহাসড়কের যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল। এ কারণে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এখন প্রকৃতিতে ঋতুবদলের আয়োজন। হেমন্তকাল শেষের পথে। আর মাত্র কয়েকটা দিন পরই আসবে শীতকাল। কিন্তু এখনই প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। ভোরে কুয়াশার সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও পড়ছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে পুরোদমে ঠান্ডা জাঁকিয়ে বসবে।
কালীগঞ্জ দুহুলী এলাকায় রিকশাচালক নির্মল চন্দ্র বলেন, গত দুদিন থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। কুয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডাও বাড়ছে। ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীর সংখ্যাও কম।
কাকিনা এলাকার এলাকার বাসিন্দা জুয়েল মিয়া জানান, এখনই কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে চরাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই শীত নিবারণ করতে খড়কুটো জ্বালাচ্ছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ঠান্ডার প্রকোপ আরও বাড়বে।
লালমনিরহাটে পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাড়তে শুরু করেছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগীরা।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা আলী রাজিব মোহাম্মদ নাসের জানান, হাসপাতালে কয়েকদিন থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ারা তুমপা বলেন, প্রতি বছর এসব এলাকায় শীতের প্রকোপ বাড়ে। এবারও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।