Logo
Logo
×

সংবাদ

ফ্যাক্টচেক

ভুয়া সংগঠনের নামে যুবদল সভাপতির বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ

Icon

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

ভুয়া সংগঠনের নামে যুবদল সভাপতির বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

গত ২১ নভেম্বর কয়েকটি ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল ও ফেসবুক পেজে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার বিরুদ্ধে ‘১৮০ কোটি টাকা পাচারের’ অভিযোগ সংক্রান্ত একটি খবর প্রচার করা হয়। খবরটির সূত্র হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা হওয়া একটি অভিযোগপত্রের বরাত দেওয়া হয়েছে।

বাংলা আউটলুক ওইসব ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পোস্টে শেয়ার করা অভিযোগপত্রটি যাচাই করে দেখেছে সেটিতে উল্লিখিত অভিযোগকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামগুলো ভুয়া।

গত ২৯ অক্টোবর দুদকে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রের নিচে অভিযোগকারী হিসেবে রয়েছে ‘সামিউল হক চৌধুরী’র নাম। তার পরিচয় দেওয়া হয়েছে, ‘অর্থ পাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক’। কিন্তু এই নামের কোনো সংগঠনের অস্তিত্ব অনলাইনে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সামিউল হক চৌধুরী এবং তার সংগঠনের নাম গুগলে সার্চ করলে উপরোক্ত অভিযোপত্রের বাইরে কোথাও নামগুলোর সন্ধান মেলে না। অর্থ পাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত এমন কোনো কমিটির নাম কোথাও পাওয়া যায় না।

এছাড়া যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর এবং এনজিও ব্যুরোতে খোঁজ নিয়েও এমন কোনো সংগঠনের নাম পাওয়া যায়নি।

দুদকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযোগপত্রটি গত ২৯ অক্টোবর সংস্থাটির কর্মকর্তারা গ্রহণ করেছেন। যদিও অভিযোগকারীর বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত দুদকের এক কর্মকর্তা।

ভুঁইফোড় অনলাইনে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

ওই কর্মকর্তা বলেন, দুদকে অনেকেই ভুয়া নাম পরিচয় ব্যবহার করে অভিযোগ করে থাকেন। এই চিঠির ক্ষেত্রে কী ঘটেছে তা জানতে তদন্ত শুরু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়, গত ১১ আগস্ট ইসলামী ব্যাংকে প্রধান কার্যালয়ে হামলার ঘটনার জন্য মুন্নাকে দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘এস আলম গ্রুপ দীর্ঘ দিন ধরে ইসলামী ব্যাংক ব্যাংলাদেশ লিঃ অবৈধ ভাবে দখল করে রাখে। গত ৫/৮/২৪ইং তারিখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুনরায় ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন উদ্যেক্তাগণ দায়িত্ব বুঝে নেয়। এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের দখল ছেড়ে দিলেও মতিঝিল দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এস আলম গ্রুপের অবৈধ ও অনিয়মের নথিসমূহ আটকা পড়ে যায়। পরবর্তিতে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়া অবৈধ ঋণের নথিসমূহ শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে উদ্ধার অথবা ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ভিতরে অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য এস আলম গ্রুপ যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সাথে ২০০ কোটি টাকার কন্ট্রাক্ট করে এবং কাজের আগেই সম্পূর্ণ টাকা নগদে পরিশোধ করে এস আলম গ্রুপ।’

ভুঁইফোড় অনলাইনে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। 

এদিকে, গত ১১ আগস্টের হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে এবং পরবর্তীতে মূলধারার গণমাধ্যমে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের নাম এলেও যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্নার নাম আসেনি। তার বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগও করা হয়নি।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন