হাউস অব লর্ডসে ভয়েস ফর বাংলাদেশের কনফারেন্স। ছবি: সংগৃহীত
২০২৬ সালের মাঝামাঝি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ হতে পারে। তারপর নির্বাচনের চিন্তাভাবনা।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে সেখানকার সময় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ এক কনফারেন্স আয়োজন করে। কনফারেন্স শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন হতে পারে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে না গেলে ক্ষুব্ধ জনতা তাকে টুকরো টুকরো করে ফেলত। সেটা দেশের জন্য ভালো হতো না।’
‘ডিসকাশন অন ডেমোক্র্যাটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেকজান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি। কনফারেন্স পরিচালনা করেন ভয়েস ফর বাংলাদেশের ফাউন্ডার ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
কনফারেন্সে ৫ আগস্টের আগের ও পরের বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মানবাধিকার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন আলোচকরা। আতাউল্লাহ ফারুক বলেন, ‘গত ১৫ বছর বাংলাদেশে কোনো বাক স্বাধীনতা ছিল না। মিথ্যা মামলা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। এখন আমরা কথা বলতে পারছি। স্বাধীনভাবে নিজ দেশে ভ্রমণ করতে পারছি।’
কনফারেন্সে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান যুক্তরাজ্যের লেবার এমপি ড. রুপা হক।
সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।’
টেরোরিস্ট সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ এশিয়ার সাবেক প্রধান আব্বাস ফায়েজ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী মাইকেল পোলাক বাংলাদেশে তার দুইবার সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত এবার যখন বাংলাদেশে যাব তখন নিজেকে অনেকখানি মুক্ত অনুভব করব।’
কনফারেন্সে আইনজীবী ও কলামিস্ট-ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ আলোচক হিসেবে অংশ নেন। তাছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।