ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রবিবার (১৭ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা একথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, বাংলাদেশ তখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত একটা দেশ। এসময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে তারা সহিংসতারও শিকার হয়েছেন। কিন্তু এটা নিয়ে যেসব প্রচার-প্রচারণা হয়েছে তা ছিল সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অল্প যে সমস্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর মূল কারণ ছিল রাজনৈতিক। কিন্তু এসব ঘটনাকে ধর্মীয় আবরণ দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা হয়েছে। সবার সহযোগিতায় দৃঢ়ভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছি। এ জন্য দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি ভয় দেখিয়েছিল, তারা ক্ষমতা ছাড়লে দেশে লাখ লাখ লোক মারা পড়বে। অথচ, টানা ৭ দিন পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় থাকার পরও ব্যাপক আকারে সহিংসতা এড়ানো গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের মাথায় দেশের প্রায় ৩২ হাজার পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে একদিন অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করা হয় যা উৎসবের আমেজকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দূর্গাপুজা ঘিরে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেই। যার ফলে, দেশের হিন্দু সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করেছে। আমরা দায়িত্বে আসার পর যে অল্প কিছু ক্ষেত্রে তারা সহিংসতার শিকার হয়েছেন, আমরা তার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করছি। শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ই নয়, দেশের কোনো মানুষই যাতে কোনো রকম সহিংসতার শিকার না হয়, সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে এবং সবসময় তা করে যাবে।