অভ্যুত্থানের ১০০তম দিন
খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনুন : নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী
সমাবেশ চলাকালীন একটি চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই গণহত্যায় দায়ী আওয়ামী লীগের বিচার এবং শহীদ পরিবার ও আহতের পুনর্বাসনের দাবিতে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল ৩টায়0 ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিন উপলক্ষে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জাতীয় নাগরিক কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জুলাই গণহত্যায় শহীদদের পরিবারের সদস্যরা, আহত আন্দোলনকারী, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, নির্বাহী সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব, নিজামউদ্দিন, মশিউর রহমান, আশরাফ মাহাদী, এস এম শাহরিয়ার, আকরাম হুসাইন, মায়ের ডাকের সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি ও ঢাকা মহানগর থানা কমিটির সদস্যরা।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসররা বিরাজমান, তারা আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমলাতন্ত্র, সেনাবাহিনী, পুলিশসহ যেখানেই ফ্যাসিবাদের দোসর বিরাজমান, অতি সত্ত্বর তাদের বিদায় করতে হবে। সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে বলছি, একটি গণকমিশন গঠনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনুন। শহীদ পরিবার ও আহতদের দ্রুত পুনর্বাসন করার চেষ্টা করুন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির নির্বাহী সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ছাত্র-জনতার উপর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি খুনি হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক খুনি ওবায়দুল কাদের সাংগঠনিকভাবে সেই নির্দেশনায় তাদের লীগ ও তাদের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেই নির্দেশনা অনুযায়ী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। তাই দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হবে।
সমাবেশ থেকে জুলাই অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের গণহত্যায় দুই হাজারের অধিক শহীদ ও ৩০ হাজারেরও বেশি আন্দোলনকারী আহত হন। আজ অভ্যুত্থানের শততম দিনে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন প্রতিহত করার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিলোপ, বাকশালী সংবিধান সংস্কার এবং জুলাই গণহত্যায় দায়ী আওয়ামী লীগের দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের দোসরদের কোনো ধরনের সমর্থন না করার জন্য এবং একই সাথে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে দ্রুত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন নিশ্চিতের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয় সমাবেশ থেকে।