গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা পাবে ইউনিক আইডি, ফ্রি চিকিৎসা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. সায়েদুর রহমান জানিয়েছেন, গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রত্যেককে ইউনিক আইডি বা স্বতন্ত্র পরিচয়পত্র দেবে সরকার। সব সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁরা সারা জীবন বিনা মূল্যে সেবা পাবেন। যেসব বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে সরকারের চুক্তি থাকবে সেখানেও বিনা মূল্যে সেবা পাবেন তাঁরা। আহতদের চিকিৎসায় সব সরকারি হাসপাতালে বেড ডেডিকেটেড থাকবে। ঢাকার সব হাসপাতালকে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে সচিবালয়ে সরকারের ছয়জন উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার একজন বিশেষ সহকারীর সঙ্গে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক শেষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাহীর দায়িত্ব পাওয়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. সায়েদুর রহমান এসব কথা জানান।
ড. সায়েদুর রহমান বলেন, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে লিখিত রূপরেখা দেওয়া হবে। রূপরেখায় দেওয়া টাইমলাইন অনুযায়ী সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। আহতদের চিকিৎসায় রূপরেখায় যেসব বিষয়ের উল্লেখ থাকবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। এ বিষয়ে গাফিলতি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
এর আগে বৈঠকে আহতরা সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো, গণ-অভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের অতিদ্রুত মন্ত্রী বা উপদেষ্টারা আহত হলে যে মানের চিকিৎসা দেওয়া হতো সে মানের চিকিৎসা দিতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়ে নিজ খরচে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের চিকিৎসা খরচ পরিশোধ করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সম্মাননা কার্ডের মাধ্যমে একটি প্রজন্ম পর্যন্ত মাসিক ভাতা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের স্মৃতি ফাউন্ডেশন নামে জাদুঘর নির্মাণ করে প্রতি বছর ১ জুলাই হতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত শহীদদের স্মরণে গণ-স্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন ও আহত হয়ে যারা অঙ্গ হারিয়েছেন, একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের মেডিকেল ফাইল তদন্ত করে কোনো ডাক্তার বা মেডিকেলের অবহেলার কারণ খুঁজে পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করে সেই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আগামীতে রাষ্ট্র সংস্কারে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধাদের মতামত গ্রহণ করতে হবে।